নিজস্ব সংবাদদাতা: ২রা মে নির্বাচনের ফল ঘোষনার পরেই আক্রান্ত হয়েছিলেন এক বিজেপি কর্মী সমর্থক পরিবার। মারধরের পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছিল। বাড়ি ছেড়ে পালাতেও বাধ্য হয় ওই পরিবার। সেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে। অভিযোগ তারই বদলা নিতে ফের আরেক দফা মারধরের শিকার হয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী ও তার পরিবারের আরেক সদস্য। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার রাত আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চন্দ্রকোনা থানার খিরেটি গ্রামে। গ্রামেই একটি রেডিমেড জামা-কাপড়ের দোকানের মালিক আশিস ঘোষ। তিনি বিজেপি কর্মী নামেই পরিচিত। অভিযোগ আশিস ঘোষ তখন দোকানে নিজের ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন। ওই সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে দোকানে ঢুকেই মারধর করতে শুরু করেন। দোকান থেকে টেনে বের করা হয় তাঁকে। আশিস বাবুর দাদা সুকান্ত ঘোষ ভাইকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে তাঁকেও মারধর করা হয়। এই মারধরের ফলে আশিসের কপালে ও সারা শরীরে জোরালো আঘাত রয়েছে। সুকান্ত ঘোষের নাকে আঘাত লাগে এবং তিনি রক্তাক্ত হন। খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ আক্রান্ত দুজনকেই চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং পরে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
আশিস বাবু জানিয়েছেন, আক্রমন কারীরা তৃনমূলের পরিচিত মুখ এবং মারধরের সময় তারা বলছিল যে কেন আমি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। আশিস বাবু আরও জানান, ‘২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল আর ৩ মে আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর ও ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটিয়েছিল তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। খুনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল ওরা। ওই ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হই সপরিবারে। এরপর জুন মাসের ২৪ তারিখ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানাই। জুনের শেষের দিকে বাড়ি ফিরে আসি। তারপর আবারও সেই একই ঘটনা। যদি এই আমাদের রাজ্যের গণতন্ত্রের অবস্থা হয়। তাহলে কোথায় যাব আমরা?”
যদিও এই ঘটনা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে চন্দ্রকোনা ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জগজিৎ সরকার। সরকার বলেন, ‘ বিধানসভা নির্বাচনের পর পায়ের নিচে মাটি হারিয়েছে বিজেপি। এখন নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল চলছে। সেই গন্ডগোল, আর কোন্দলের ফলে এই সব ঘটনা ঘটছে যার দায় তৃনমূলের ওপর চাপাতে চাইছে। এই ভাবে তৃণমুল কে বদনাম করার চেষ্টা যে মানুষ ভালো চোখে নেয়নি তার প্রমান তো বিধানসভা নির্বাচনেই পাওয়া গেছে।”