নিউজ ডেস্ক: এবার মাদকচক্রে জড়ালো বিজেপি যুব মোর্চা নেত্রী পামেলা গোস্বামীর নাম। হুগলি বিজেপির যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক তিনি। তার কাছ থেকে উদ্ধার হল ১০০ গ্রাম কোকেন। সূত্রের খবর, শুক্রবার নিউ আলিপুরে নিজের আবাসনের কাছে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য পামেলা গোস্বামী যান। সেখানেই তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছেন তার সঙ্গী প্রবীর দে-কেও। তিনিও বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার নিউ আলিপুরে নিজের আবাসনের কাছে গাড়ি পার্কিং করতে যখন পামেলা সেখানেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের তরফে গ্রেপ্তার করা হয়। নিউ আলিপুর থানার পুলিশ তাঁর গাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গ্রাম কোকেনের প্যাকেট এবং তাঁর ব্যাগেও পাওয়া যায় কোকেন। সেগুলিকে উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পামেলা ও প্রবীর দে-র মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। তাঁরা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশ তাঁদের ওপর নজর রাখছিল। এদিন নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে খান আটেক গাড়ি নিয়ে তাঁদের ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নেত্রীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ যেহেতু আগে থেকেই ছিল, তাই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছিল।
পুলিশের কাছে খবর ছিল প্রায় প্রতিদিনই নিউ আলিপুরের কোথাও না কোথাও রাস্তায় গাড়ি নিয়ে দাঁড়ান পামেলা গোস্বামী। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই শুক্রবার নিউ আলিপুরে ফাঁদ পেতে ছিল পুলিশ। এদিনও যে তিনি যাবেন, সেটা আগে থেকেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। পামেলা গোস্বামীর গাড়ি থামতেই পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ৮ টি গাড়ি করে তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরা হয়।
এরপরই আর বিজেপি নেত্রীর পালানোর পথ ছিল না। তারপরেই গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় মাদক, এমনকি তার ব্যাগেও পাওয়া যায় মাদক দ্রব্য। উদ্ধার কৃত মাদকের বাজার মূল্য কয়েক লক্ষাধিক টাকা বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, পামেলা ও প্রবীর দুজনেই মাদকাসক্ত ছিলেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন করা নাড়ছে দরজায়। এই নিয়ে একপ্রকার উত্তেজনা রয়েছে সারা রাজ্য জুড়েই। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল গেরুয়া শিবির প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের শাসক শিবিরের উদ্দেশ্যে একের পর এক অভিযোগের পাহাড় খাঁড়া করছে। এমতাবস্থায় তাদেরই যুব নেত্রীর এভাবে মাদক পাচার চক্রে গ্রেফতার হওয়া যে গেরুয়া শিবিরকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে সে বিষয়ে কোনও সেন্দেহ নেই। আর এর প্রভাব যে ভোট বাক্সকেও প্রভাবিত করতে পারে, সে কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এই বিষয়ে।