নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সফর ঘিরে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটল ডায়মন্ডহারবারে। চলল ইট বৃষ্টি, ভাঙচুর হল গাড়ি। অভিষেক ব্যানার্জীর সংসদীয় ক্ষেত্রেই এই ঘটনায় স্বভাবতই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃনমূল কংগ্রেসের দিকে। জেপি নাড্ডার পূর্ব ঘোষিত সফরের পূর্বেই বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছিল ডায়মন্ডহারবারে।বেলা বাড়তেই ক্রমশ জটিল হতে শুরু করে পরিস্থিতি। আশঙ্কা সত্যি করেই সেই ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার।
নির্বাচনের পূর্বে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির আগমন নিয়ে উত্তপ্ত হবে অভিষেকের গড়,অনুমান করেছিলেন সকলে। কুলপির হটুগঞ্জ মোড়ে যুব তৃণমুলের পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করা হয়।বিধায়ক সওকত মোল্লার নেতৃত্বে মিছিল বের করেন তৃণমুলের কর্মী সমর্থকেরা।এই এলাকাতেই নাড্ডার গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে তৃণমুল কর্মীরা। জেপি নাড্ডার কনভয় লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ছুড়ে দেয় ইট ও জলের বোতল। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীর।
বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র গাড়িতে ভাঙচুর সহ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীকে হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে।সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে চলে ভাঙচুর।
প্রতিকুলতা পাড় করে ডায়মন্ডহারবারের সভাস্থল রেডিওষ্টেশন গ্রাউন্ডে নাড্ডার কনভয় পৌছে দিতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের।
এদিন ডায়মণ্ডহারবারে সাংগঠনিক বৈঠক করেন জেপি নাড্ডা। সেখানে ছিলেন জেলানেতৃত্বরা। আলোচনা হয় আগামী কর্মসূচিগুলি নিয়ে।সভাস্থল থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলায় অরাজকতা ও অসহিষ্ণুতা বেড়েছে।মা দুর্গার কৃপায় তিনি পৌছতে পেরেছেন বলে জানান।বাংলার গুন্ডারাজের পতন হবে বলে তিনি স্পষ্ট বলেন।বিরোধীদের মারধর করে এবং ভয় দেখিয়ে খতম করার মানসিকতা পরাস্ত করার আহ্বান জানান তিনি।বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করলে আইনের শাসন ফের কায়েম হবে বলে আশ্বাস দেন নাড্ডা।
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান,সাধারন মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জানিয়েছে।তিনি আরও জানান,জেপি নাড্ডা দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি নন যে গোটা রাস্তা জুড়ে পুলিশ দাড়িয়ে থাকবে।কিছু স্থানে পুলিশি নিরাপত্তা কম থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুরের জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। গোটা ঘটনায় রাজ্যের কাছে বিস্তারিত তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।