নিউজ ডেস্ক: এ যেন ছিল বেড়াল আর হয়ে গেল রুমাল! মঙ্গলবার মানুষ দেখলেন বিস্ফোরনে উড়ে গেছে টিনের চাল, উড়ে গেছে দরজা আর বুধবার সকালে দেখা গেল নতুন খড়ের চাল গজিয়েছে সেই বাড়ির মাথায়, বিস্ফোরনে ভেঙে যাওয়া দরজার বদলে লেগেছে অন্য একটা দরজা। মাঝে মাত্র ১২ঘন্টার ব্যবধান কিন্তু তারই মধ্যে এমন ম্যাজিক একমাত্র কেষ্ট বা অনুব্রত মন্ডলের গড় ছাড়া আর কোথায় হতে পারে? হ্যাঁ, ঠিক এমনই অবাক করা কান্ড ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরশ্বরে। আর গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের সেই ‘বোমা শিল্প’ তত্ত্বকেই সামনে আনছে বিজেপি।
ঘটনা মঙ্গলবার বিকাল চারটা নাগাদ। ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডলের বাড়ির সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ মুহূর্তের মধ্যে কেপে উঠে এলাকা৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে৷ ভেঙ্গে গিয়েছে বাড়ির দরজা জানলা৷ যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং প্রয়োজনীয় তদন্তের কাজ সেরে চলে যায়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথারীতি শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা৷তৃণমুলের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি,বহিরাগত নিয়ে এসে বোমা বাঁধার কাজ চালাচ্ছিল তৃণমূল৷ ওই বোমা দিয়ে বিজেপির উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল ওদের৷ শাসক দল অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। কিন্তু এই অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই ঘটে যায় একটি অবাক করা কান্ড যা বাংলায় বোমা বিস্ফোরণের ইতিহাসে আগে ঘটেছে বলে জানা নেই।
বুধবার সকালে স্থানীয় মানুষ জন দেখেন আমূল বদলে গেছে বিস্ফোরণ ঘটা সেই ক্লাব ঘরের। পাকা ঘরামি দিয়ে আর নতুন খড় দিয়ে ছাওয়া হয়েছে চাল আর বারুদে পুড়ে যাওয়া কালো দরজাটি বদলে দিয়ে লাগানো হয়েছে পুরানো অথচ মজবুত একটা দরজা! প্রশ্ন হল কে করল এই কাজ? যদি বিস্ফোরণ না হয়েই থাকে তবে রাতারাতি চাল বদল কেন?
বিরোধীদের অভিযোগ, একটা জায়গায় বিস্ফোরণ হওয়ার পর সেই জায়গা স্থানীয় পুলিশ ঘিরে রাখে যতক্ষণ না বোম্ব স্কোয়াড বা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এসে পৌঁছায়। এটা করার কারণ যাতে বিস্ফোরণ স্থল থেকে প্রমাণাদি লোপাট না করা হয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটা বাড়ির ভোল রাতারাতি বদলে দেওয়া হল কী করে? যদিও এই ঘটনাকে পটকা ফেটেছে বলেই তৃনমূলের স্থানীয় নেতাদের দাবি। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে বিস্ফোরনের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গেছিল ঠিকই কিন্তু বিস্ফোরনের কোনও হদিস মেলেনি।