Homeউত্তরবঙ্গআলিপুরদুয়ারগণ্ডার হত্যাকাণ্ডে বড় সাফল্য, অভিযান চালিয়ে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ১

গণ্ডার হত্যাকাণ্ডে বড় সাফল্য, অভিযান চালিয়ে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ১

নিউজ ডেস্ক: গন্ডার হত্যা কান্ডে বড় ধরনের সাফল্য পেল বনদপ্তর। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে আলিপুরদুয়ারের বনচুকামারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি পয়েন্ট ৩১৫ রাইফেল, তিনটি সাইলেন্সার ও কুড়ি রাউন্ড তাজা কার্‌তুজ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পরিমল বর্মণ নামের এক ব্যাক্তিকে।

বনদপ্তরের দাবী ঐ বন্দুক দিয়েই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা রেঞ্জের বানিয়া বিটের একটি এক শৃঙ্গ মাদী গণ্ডারকে হত্যা করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে মনিপুর থেকে গত ৫ এপ্রিল তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতেই বনকর্তারা জানতে পারেন যে, ছয় সদস্যের ওই চোরাশিকারির দলটিকে আশ্রয় দিয়েছিল ধৃত পরিমল বর্মণ।

ওই অভিযুক্তের বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে মাটির তলায় প্লাস্টিকে মুড়ে পুতে রাখা হয়েছিল ঐ আগ্নেয়াস্ত্র ও শিকারে ব্যবহৃত সরঞ্জাম গুলি। তদন্তে জানা গিয়েছে একেবারেই পরিকল্পিত ভাবে একেরপর এক গণ্ডার হত্যার ছক কষে জলদাপাড়ার পাশের বনচুকামারি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চোরা শিকারিরা দলটি।

তবে গণ্ডার হত্যার দেড় মাসের মধ্যেই রাইফেল দু’টি উদ্ধার করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বনকর্তারা। বৃহস্পতিবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়ক দেবদর্শন রায়ের নেতৃত্বে গ্রেপ্তার করা হয় পরিমল বর্মণকে। শুক্রবার ধৃত পরিমল বর্মন কে আলিপুরদুয়ার অতিরিক্ত জেলা আদালতে পেশ করে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের দাবী করে বন দপ্তর। বিচারক সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডের রায় জানান।

বন আধিকারিকদের মতে, গণ্ডার হত্যার তদন্তে নেমে এটি একটি বড় সাফল্য। যে ভাবে ছক কষে আগ্নেয়াস্ত্র গুলো মজুত করা হয়েছিল, তাতে ভবিষ্যতে চোরা শিকারিরা দলটির আরও গন্ডার নিধনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না কেউই। তাদের আশা, খুব দ্রুত গণ্ডার হত্যার মাস্টার মাইন্ড বনদপ্তরের জালে ধরা পড়বে।

RELATED ARTICLES

Most Popular