নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় জনতা পার্টির ভারতী ঘোষকে কটাক্ষ করে তৃনমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, উনি বিধানসভার যোগ্য নন, উনি বরং ডেবরা বিধানসভাটা আমাকে ছেড়ে দিয়ে পঞ্চায়েত কিংবা জেলা পরিষদ স্তরে প্রার্থী হন। বৃহস্পতিবার তারই জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ জানালেন, “পঞ্চায়েত বা জেলাপরিষদে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সেই মানুষকে অপমান করার এই যে শিক্ষা উনি বহন করছেন এটাই তো প্রমান করে যে কোন রাজনৈতিক শিক্ষা নিয়ে উনি ভোটের ময়দানে এসেছেন? পঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ এগুলো কী ছোট জায়গা? গ্রামের সাধারণ মানুষ এই সব পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন তাঁরা কি ছোট?”
বৃহস্পতিবার নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক ভারতী ঘোষ। তার আগে ডেবরার চন্ড্যা বুড়ির থানে পূজা দেন তিনি যা দেখতে সেই খান কে ঘিরে সমবেত হন হাজার হাজার জনতা। ডেবরা থেকে বিশাল সংখ্যক অনুগামী সামিল হন তাঁর মনোনয়ন যাত্রায়। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। জানতে চান তাঁর প্রতিপক্ষ আরেক প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক হুমায়ুন কবীরের ওই বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর মতামত। এই একই প্রশ্ন করা হয়েছিল দ্য খড়গপুর পোষ্টের তরফে ।
প্রত্যুতরে ভারতী বলেন, ‘ উনি তো ওনার নিজেরই দলের পঞ্চায়েত বা জেলাপরিষদের প্রার্থীদেরও অপমান করছেন। শুধু কী তাই ? এই অপমান ডেবরার অপমান নয়? লোকসভায় প্রার্থী হয়েছিলাম আমি। এই ডেবরা বিধানসভা আমাকে জিতিয়েছে। কেশপুরে যদি ১লক্ষ ৮ হাজার ভোট লুট না হত তাহলে আমি যে জয়ী হতাম এটা তো ওনাদেরই একসময়ের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন। তাহলে যে ডেবরার মানুষ আমাকে লোকসভায় ৪হাজার ভোটে জেতালেন তাহলে কী তাঁদের বোধবুদ্ধির মান নিচু?”
এরপরই তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘আসলে এঁরা কারা বলুন তো? যাঁরা গায়ে দামি সুগন্ধি মেখে ঠান্ডা গাড়িতে চড়ে দু’একদন্ড আপনাদের কাছে আসবেন। তারপর ফের গাড়ি চড়ে চলে যাবে। আপনাদের দু’এক টাকার মিষ্টি খাওয়াবে।তবে এটাও জেনে রাখুন ডেবরার মানুষ ওঁকে রসগোল্লা খাওয়াবেন। তবে সে রসগোল্লা ছানার নয়, ভ্যাকামের, হওয়ার।”
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি ভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে কি করে আহত হন এটা তদন্ত করে দেখা উচিত। উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে আসুন এই কামনা করছি।”