নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় কানের পাশ দিয়ে চলে গেছে পরাজয়। হাড্ডাহাড্ডি জয় এসেছে বিহারে, উপনির্বাচনে ভাল ফল হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটে। এই জয় সুশাসনের জয় এবং নিরন্তর জয়ের এই ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলাতেও। এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক ভারতী ঘোষ। মঙ্গলবার গভীর রাতে বিহারে সরকার গঠনের নির্ণায়ক শক্তি অর্জন করেছে এনডিএ, ভাল ফল করেছে বিজেপি। বুধবার সেই জয় ঘোষনার ১২ ঘন্টার মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইলে এমনই দাবি করলেন জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার।
ঘোষ দাবি করেছেন ‘শুধু বিহার নয় তারই সাথে মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক এবং বিহারে ভাল ফল করেছে বিজেপি। তার একটাই কারন জাতীয় স্তরে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত শাসন যা অন্য রাজ্য গুলিকে আকর্ষিত করেছে। বিপরীতে এই রাজ্যে চলছে শুধুই দুর্নীতি। আর এই দুর্নীতি এখন এতটাই প্রকট যে মানুষের চোখ খুলে গেছে।
এদিন সাঁকরাইলে তৃনমূল থেকে ১০০জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি বলেন, “এর আগে এই জঙ্গলমহলের শিলদাতে কয়েকশ মানুষ আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। জঙ্গল মহলের মানুষ তাঁদের বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন। আপনারা দেখবেন এই ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে তৃনমূল একটিও আসন পাবেননা।”
দিল্লিতে সিবিআই য়ের হাতে ধরা পড়া মুর্শিদাবাদের গরু পাচার মাফিয়া এনামূলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পেয়েছে তাতে তৃণমূলের হোমড়া চোমড়া থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা জড়িত বলে জানা গেছে দাবি করে ভারতী ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের এই সব দুর্নীতি মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়ে পড়বে এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃনমূলকে দূরবীন দিয়ে দেখতে হবে।”