নিজস্ব সংবাদদাতা: এ যেন উলট পুরান! স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ মদ্যপান করে গৃহ অশান্তি তৈরি করার। মঙ্গলবার রাতে তেমনই এক অশান্তির জেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রী এমনটাই অভিযোগ স্বামীর। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা এলাকার একটি গ্রামের। ঘটনায় স্ত্রী কে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন স্বামীও। স্বামী বেলদা গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বেলদা থানার অন্তর্গত বিনন্দপুরের বাসিন্দারা জানান, বুধবার সকালে তারা ঘটনাটি যখন জানতে পারেন তখন ওই ঘরের মধ্যে প্রায় অঙ্গার হয়ে পড়েছিল স্ত্রীর মৃতদেহ অন্যদিকে স্বামীর দু’হাত অগ্নিদগ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছিলেন। প্রতিবেশীরাই খবর দেয় বেলদা থানায়। বেলদা থানার পুলিশ কর্মীরাই একটি গাড়ি জোগাড় করে দুজনকে বেলদা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্ত্রীকে মৃতা বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কটি সিং, বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।
মৃতা কটি সিংয়ের আহত স্বামী বাপী জানান, ‘ প্রায়শই মদ খেত আমার স্ত্রী আর সেই নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। সংসারের টাকা পয়সা মদেই উড়ে যেত। মঙ্গলবারও এই নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। সকালে এই নিয়ে আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আমি মজুর খাটতে বেরিয়ে যাই। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেছি, খাবার চেয়েছিলাম দেয়নি। তখনও কথা কাটাকাটি হয়। রাতেও নিজেও খায়নি, আমাকেও খাওয়ার দেয়নি। শোওয়ার ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিয়েছিল ও। আমি প্রথমে দরজা খুলতে বলি। এরপর দরজা ভাঙার চেষ্টা করতেই গায়ে তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ও।”
বাপীর দাবি, এরপরই দরজা ভেঙে সে যখন ভেতরে ঢুকে তখন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিলেন কটি। সারা শরীর ময় দাহ্য তেল থাকায় মুহূর্তে কাপড় চোপড় গ্রাস করে নেয় আগুন। তিনি প্রথমে দু’হাত দিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
পুলিশ বাপীর সঙ্গে কথাবার্তা বলার পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত শুরু করেছে। দায়ের হয়েছে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।