নিজস্ব সংবাদদাতা: জেএনইউতে গেরুয়া গুন্ডামিতে এখনও দেশজুড়ে সমালোচনা চলছে তার মধ্যেই আবার সেই একই কায়দায় পড়ুয়াদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল ক্যাম্পাসে আর এবার সেই রাতের অন্ধকারে গেরুয়া গুণ্ডামির ঘটনা ঘটল বিশ্বভারতীতে। অভিযুক্ত হামলাকারীরা একদা তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের তলায় থাকলেও বর্তমানে তারা বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপির নেতা বলেই পরিচিত। বুধবার রাতের এই মারাত্মক আক্রমনের শিকার হয়েছেন বিশ্বভারতীর দুই ছাত্র সাঁওতালি বিভাগের দেবব্রত নাথ এবং অর্থনীতির ছাত্র স্বপ্ননীল মুখার্জি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিযুক্ত এবিভিপির দুই নেতা হলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে এসেছে বিজেপির তলায় অচিন্ত্য বাগদি। অপরজন সাবির আলি। সে ছাত্রই নয় এখন, বহিরাগত। রড, লাঠি আর বাটাম দিয়ে ফেলে পেটানো হয়েছে ওই দুই পড়ুয়াকে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুজনেই। আভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও বিশ্বভারতীর পিয়ারসন হাসপাতালে ঢুকে পর্যন্ত তান্ডব চালায় অচিন্ত বাগদি ও সাবির আলিরা। বিশ্বভারতী জুড়ে এই অভিযোগে ছড়িয়েছে ব্যপক উত্তেজনা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আক্রান্ত এই দুই বামপন্থী মনোভাবাপন্ন ছাত্রই অগ্রনি ভুমিকা নিয়েছিলেন গত ৮জানুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটের দিন সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। দিনভর রাস্তায় ছিলেন তারা। সিএএ-র স্বপক্ষে ভাষন দিতে আসা বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে ঘেরাও করা পড়ুয়াদের মধ্যে ছিলেন আক্রান্ত এই দুজন। বুধবার রাতে বিদ্যা ভবন হস্টেলের সামনে পোস্টার মারার সময় আক্রমন হয় এদের উপর। আক্রমনের খবর পেয়ে এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ,আরএসএফ নেতা ফাল্গুনি পান হাসপাতালে ছুটে গেলে তাকে ঘিরেও বচসা, হুমকি দেয় বহিরাগত এবিভিপিরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পড়ুয়াদের ক্ষোভ অবশ্য হামলাকারীদের থেকে অনেক বেশী উপাচার্যের উপর। কারন ক্যাম্পাস জুড়ে পড়ুয়াদের অসন্তোষ, আন্দোলন, বিক্ষোভের ‘মোকাবিলা’ করতে ময়দানে নামিয়েছেন অচিন্ত্য বাগদি, সাবির আলিদের মত ছেলেদের। আক্রমনকারীরা এতই বেপরোয়া ছিল যে হামলার পরেও তারা নিশ্চিন্তে হাসপাতাল ঘেরাও করে দাড়িয়েছিল। আক্রান্তদের দেখতে যাওয়া অধ্যাপকদের পড়তে হয়েছে তাদের হুমকির কাছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ বলেন, ” বুধবারের রাত আরো একবার দেখিয়ে দিয়েছে, ক্যাম্পাস পড়ুয়াদের জন্য কতটা নিরাপদ। ছাত্র আন্দোলন দমনে কতটা ন্যাক্কারজনক চক্রান্ত চলছে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে।”এদিকে বুধবার বিকেলেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তালাবন্ধের নোটিশ জারি করেছে বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি এসোসিয়েশনের অফিসে। কারন অধ্যাপক সংগঠনের অধিকাংশ সামিল হয়েছিলেন ধর্মঘটে। অধ্যাপকরা জানিয়েছেন উপাচার্য ক্যাম্পাসকে গেরুয়াকরন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।