Homeএখন খবরপি.কের প্রার্থীকে মানতে নারাজ খোদ অনুব্রত মণ্ডলও! বিদ্রোহে ফেটে পড়লেন তৃনমূলের বীরভূম...

পি.কের প্রার্থীকে মানতে নারাজ খোদ অনুব্রত মণ্ডলও! বিদ্রোহে ফেটে পড়লেন তৃনমূলের বীরভূম সর্বাধিনায়ক

নিজস্ব সংবাদদাতা: তাঁর বিরুদ্ধে গিয়ে দল অন্য প্রার্থী দেবে এমনটা এর আগে হয়নি কিন্তু এবার হয়েছে। কারন এবার শুধু দল নয় তার সঙ্গে প্রার্থী বাছাইয়ে রয়েছেন স্বয়ং প্রশান্ত কিশোর। যতদূর জানা যায় অভিষেক ব্যানার্জীর সঙ্গে আলোচনা করেই এবার প্রার্থী তালিকা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে টিম পি.কে। রীতিমত এলাকায় ঘোরা ফেরা করে খোঁজ খবর নিয়ে তাঁরা প্রার্থী নির্বাচন করছেন বলেই জানা যাচ্ছে। বীরভূমের ১০টি আসনের জন্য অনুব্রত মন্ডল যে তালিকা পাঠিয়েছিলেন তারমধ্যে ১টি নাম কেটে দিয়েছেন পি.কে। আর সেই আসন জেতানোর দ্বায়িত্ব অনুব্রত নেবেননা বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তৃনমূলে। মমতা ব্যানার্জী একান্ত অনুগত কেষ্টর এই বিদ্রোহে কী অন্য ইঙ্গিত?

বীরভূমের দুবরাজপুর আসনকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে এই টানাপোড়েন। মজার ব্যাপার হল প্রার্থী ঘোষণার পর তিনদিন কেটে গেলেও দুবরাজপুরে কোনও উৎসাহ নেই তৃণমূল কর্মীদের। তাঁরা কাজেও নামেননি এখনও। না, ঘাসফুল সাজিয়ে এই চিহ্নে ভোট দিন বলে দেওয়াল লেখা হলেও লেখা হয়নি প্রার্থীর নাম। যে কয়েকটি জায়গায় নতুন প্রার্থীর নাম লেখা হয়েছিল তাও মুছে ফেলা হয়েছে। জানা গেছে অনুব্রতর পাঠানো তালিকায় দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ির নাম থাকলেও তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। তাঁর বদলে খয়রাশোলের বাসিন্দা গৃহবধূ অসীমা ধীবরকে প্রার্থী বলে ঘোষনা করা হয়। ঘোষণা করেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী।

সেদিন কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি অনুব্রত মন্ডলের। সেদিন অবশ্য অনুব্রত চুপই ছিলেন। দুবরাজপুরের প্রকাশ্য সভায় বিধায়ক ও বর্তমান প্রার্থী দুজনকে পাশে বসিয়ে জনসভায় দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর আহ্বানও জানাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যদিও ওই সভাতেই প্রার্থী না পারার দুঃখে চোখের জল মুছতে দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। শুধু বিধায়ক নন, এলাকার তৃণমূল কর্মীদেরও একাংশের মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে সেটাও বিলক্ষণ বুঝেছেন এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাঁর কাছেও প্রার্থী বদলের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারপরই অনুব্রতের ঘোষণা বীরভূমের ১০টি আসনের দ্বায়িত্ব তিনি নেবেন, একটি বাদে। কারণ, ওখানকার প্রার্থী তাঁর পছন্দের নয়।

অনুব্রতের সেই প্রতিক্রিয়ার পর দুবরাজপুর বিধানসভা জুড়ে প্রথম দিকে যেখানে যেখানে প্রার্থীর নাম লেখা হয়েছিল, সেগুলোও মুছে ফেলা হয়েছে। অসীমাকে দল প্রার্থী করলেও তাতে যে অনুব্রতর সায় ছিল না তা স্পষ্ট হয়ে যায় বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি কথাতেই। তিনি বলেন, ‘কেষ্টদার জন্য আমার বিধায়ক হওয়া। আমি জানি, উনি আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কারও নাম পাঠাননি। তবুও দল প্রার্থী বদল করে দিয়েছে।’ জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি খয়রাশোলের বাসিন্দা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘খয়রাশোল এবং দুবরাজপুর এলাকার বেশ কিছু অঞ্চলে অসীমা ধীবরকে নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। এ বিষয়ে তাঁরা জেলা সভাপতিকে জানিয়েছেন। দল এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে।’

বীরভূমে বিদ্রোহ শুরু হয় নলহাটি দিয়ে। প্রার্থী না করায় ইতিমধ্যেই নলহাটির বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস দল ছেড়েছেন। এবার জট দুবরাজ পুরে। জানা গেছে এই কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করে নতুন প্রার্থী ঘোষণা করার আবেদন জানিয়ে ফের তিনটি নাম পাঠিয়েছেন অনুব্রত। যদিও সেই তালিকার প্রথমেই বর্তমান বিধায়কের নাম আছে কিনা তা জানা যায়নি।

RELATED ARTICLES

Most Popular