নিজস্ব সংবাদদাতা: একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক, পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্তা, বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিদের এক সঙ্গে কোয়ারেন্টাইন যাওয়ায় ১২ঘন্টার মধ্যে ফের দু:সংবাদ খড়গপুরের, বুধবারই আরেক আক্রান্তের সন্ধান মিলল শহরের ২৮নম্বর এলাকার ঝাপেটাপুর এলাকা থেকে। মঙ্গলবার রাতে খড়গপুর পুরসভার বিদায়ী উপ পৌরপ্রধান সেক হানিফ সহ ৩ জন আক্রান্তকে ধরে শহরের মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছিল ২২জন, বুধবার নতুন করে এই ৩২ বছরের যুবকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর সংখ্যাটা দাঁড়াল ২৩।
খড়গপুর মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে নিজেকে সংক্রমিত মনে করায় দু’দিন আগেই নিজে থেকে এসে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নমুনা দিয়ে গিয়েছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তারাই ফলাফল এসেছে পজিটিভ। এরপরই ওই যুবকের ঠিকানা পুলিশকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই যুবককে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা পুলিশের। এদিকে শহর জুড়ে নতুন করে সংক্রমনের ঘটনা ঘটতে থাকায় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে নির্বিচার পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ করে যে সব এলাকায় আক্রান্তের সন্ধান মিলছে।
কয়েকদিন আগেই গোপাল নগরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল তাই ওই এলাকা থেকে ৪০ জনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। পাশপাশি বিদ্যাসাগরপুর এলাকায় রশ্মি মেটালিকের এক ম্যানেজার ও তাঁর স্ত্রী ছেলে আক্রান্ত হওয়ায় ওই পরিবার ও সংলগ্ন এলাকা থেকে ৮জনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। এছাড়া স্যানিটাইজের কাজে নিযুক্ত খড়গপুর দমকল বিভাগের ৪০জন কর্মীর মধ্যে ২০ জনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছে। বাকি ২০ জনেরও নমুনা সংগ্ৰহ করা হবে কারন রাজ্য দমকল মন্ত্রকের এক নয়া নির্দেশিকায় সমস্ত দমকল কর্মীরই করোনা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। বুধবার গভীর রাত অবধি শহরের এই ৬৮জনের ফলাফল এসে পৌঁছায়নি।
এদিকে বুধবারই সেক হানিফ সহ তিনজনকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাম্প্রতিক গঠিত হওয়া কোভিড হাসপাতাল শালবনীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়ি থেকেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হানিফের সংস্পর্ষে আসা কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়া প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আগামী রবিবার এই প্রশাসনিক আধিকারিক, বিধায়ক, কাউন্সিলর সহ প্রায় ৪০ জনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হবে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কিছু উপসর্গ থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদের নমুনা তৎকালীন ভাবে সংগ্ৰহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা পর্বে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।