নিউজ ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু সারা দেশ। আক্রান্ত আর মৃত্যুর নিরিখে প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনই একমাত্র বাঁচাতে পারে মানুষকে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিনের আকাল চলছে দেশে। নির্বাচন চলার সময় সরকারকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে যতটাই তৎপর হতে দেখা গিয়েছিল এখন যেন ততটাই উদাসীন। প্রথম ডোজ মিলছেনা তো দ্বিতীয় ডোজের মধ্যবর্তী ফাঁক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকদিন। মানুষের আতঙ্ক, হতাশা, বিরক্তি আর ক্ষোভের মধ্যেই অবশ্য একটু আশার আলো দেখা গেল বুধবার। প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বমুখী কোভিড সংক্রমনের মধ্যেই স্বস্তির খবর। পশ্চিমবঙ্গে এল আরও দু’লক্ষ ভ্যাকসিন, এবার ১৮ ঊর্ধ্বরা প্রাধান্য পেতে চলেছে।
এদিন অর্থাৎ বুধবার সকালে রাজ্যে এল কোভিশিল্ডের আরও ২ লক্ষ ১২ হাজার ৪৬০টি ডোজ। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আজ সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে এসে পৌঁছল ভ্যাকসিন। মূলত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের দেওয়া হবে এই টিকা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,সারাদেশের পাশাপাশি রাজ্যেও সংক্রমণ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। চলছে মৃত্যুমিছিল। সংক্রমণ ঠেকানোর অন্যতম এবং প্রাথমিকভাবে একমাত্র উপায় হল টিকাকরণ। কিন্তু দেশে হাহাকার পড়ে গিয়েছে ভ্যাকসিনের। তার মধ্যেই এল স্বস্তির বার্তা।
বুধবার সকাল ৮.৫০ মিনিট নাগাদ পুণে থেকে দমদম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় ২ লক্ষ ১২ হাজার ৪৬০টি টিকা। মূলত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের দেওয়া হবে এই টিকা। এখন ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থার থেকে রাজ্য সরকারকে সরাসরি কিনতে হচ্ছে ডোজ।
প্রসঙ্গত,এর আগেও পুণের সেরাম সংস্থা থেকে কোভিশিল্ডের ডোজ কিনেছে রাজ্য সরকার। এবার ২ লক্ষের বেশি ডোজ কিনল রাজ্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তাতে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলেই আশা করছে।