Homeএখন খবরবিভ্রান্তির কোনও জায়গা নেই, মেধা তালিকায় থাকা সবারই নিয়োগ হবে, জানালো প্রাথমিক...

বিভ্রান্তির কোনও জায়গা নেই, মেধা তালিকায় থাকা সবারই নিয়োগ হবে, জানালো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ! নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিলনা আদালত!

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে উর্ত্তীণ হওয়া মেধাতালিকায় থাকা সমস্ত প্রার্থীই নিয়োগপত্র পাবেন বলে জানিয়ে দিল পর্ষদ। এনিয়ে অযথা বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে পর্ষদের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের অনেকেই জেলায় কাউন্সিলিংয়ে কেন সুযোগ পাচ্ছেন না এই নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। মেধা তালিকায় থাকা উর্ত্তীণদের বিক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ির পর্ষদ অফিসের সামনে। তাঁরই ভিত্তিতে পর্ষদ আশ্বস্ত করেছে যে মেধা তালিকায় সবাই-ই চাকরি পাবেন।

পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে রাজ্যে মোট শূন্যপদ রয়েছে ১৬ হাজার ৫০০টি আর চাকুরী পাওয়ার উপযুক্ত এমন ১৫,২৮৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নাম প্রকাশ করা হয়নি ১২১৬ টি শূন্য পদে। কারন একটি মামলা এখনও আদালতে রয়েছে। এই মামলায় কেউ কেউ অতিরিক্ত ৬নম্বর পাবেন বলে দাবি করেছেন। সেই ৬নম্বর পেলে তাঁরা ইন্টারভিউর যোগ্য হতে পারেন। মামলার রায় বেরুলে এই পদ গুলি বিচার করা হবে। ফলে মেধা তালিকায় উঠে আসা কারুরই নিয়োগ না হওয়ার সম্ভবনা নেই।

আদালত এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি। আদালত জানিয়ে দিয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া যেমন চলছে তেমনই চলবে। প্রাথমিক বোর্ড নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ, মেধা তালিকা সহ ১৫দিনের মধ্যে জমা দেবে। আদালত খতিয়ে দেখবে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কিনা। প্রাথমিক বোর্ডের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাউন্সিল ও নিয়োগ শুরু হয়ে গেছে। বুধবার কাউন্সিলিং শুরু হওয়ার পরই বৃহস্পতিবার অনেকেই নিয়োগপত্র পেয়ে কাজে যোগ দিয়ে দিয়েছেন।

এখন দেখা যাচ্ছে কারও মেরিট লিস্টে লেখা হচ্ছে ইউ আর ইনক্লুডেড প্রেজেন্ট মেরিট লিস্ট এঁরা জেলাতেই কাউন্সিলিং পাবেন। আর যাঁদের ক্ষেত্রে লেখা আছে ইউ আর ইনক্লুডেট প্রেজেন্ট মেরিট লিস্ট (ফর কাউন্সিলিং )তাঁদের কেন্দ্রীয় ভাবে কাউন্সিলিং হবে। পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন এঁরা সবাই চাকরি পাবেন। অযথা বিভ্রান্ত হবেননা। প্রাথমিক পর্ষদের একটি সূত্র জানাচ্ছে যাঁরা জেলার শূন্যপদ অনুযায়ী প্রথম দিকে আছেন তাঁদের জেলাতেই কাউন্সিলিং হবে।

যেমন কোনও জেলায় ৫০০টি শূন্যপদ থাকলে ওই জেলার মেধা তালিকায় প্রথম ৫০০জনকে জেলাতেই কাউন্সিলিং করে জেলার শূন্যপদ অনুযায়ী কোথায় তাঁরা যেতে চান সেই স্থান বেছে নিতে পারবেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। অন্যদিকে জেলার শূন্যপদের অতিরিক্ত যাঁরা উর্ত্তীণ হয়েছেন তাঁদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলিং করে অন্য জেলায় নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

যেমন ধরা যাক ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুর (উল্লেখ্য জেলা ভাগ হলেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ হিসাবে এই দুটি জেলা এখনও অবধি একটিই পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত )মিলিয়ে মোট ৬৭৫ টি শূন্যপদ রয়েছে। উর্ত্তীণ হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন। প্রথম ৬৭৫ জন জেলাতেই থাকার সুযোগ পাবেন। বাকিরা অন্য জেলার কোথায় যেতে চান তা বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন কেন্দ্রীয় কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে। যেমন উত্তর ২৪পরগনা জেলায় ২০০০শূন্যপদ রয়েছে কিন্তু উর্ত্তীণ হয়েছেন ১১০০। এখানে ওই জেলার ১১০০ জনের বাইরে বাকি শূন্যপদ পূরণ করা হবে অন্য জেলায় নিয়োগের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলিং মারফৎ তাঁরা পছন্দের জেলা বেছে নিতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় ভাবে কাদের কোথায় কাউন্সিলিং হবে সে বিষয়ে প্রতিটি জেলার উর্ত্তীণ প্রার্থীদের জন্য একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিজের ৯সংখ্যার রোল নম্বর ও ডেট অফ বার্থ লিখলেই তা জানতে পারবেন। কিছু কিছু জেলায় এই লিঙ্ক খুলতে একটু সমস্যা হলেও ধিরে ধিরে তা খুলে যাবে যেমন হাওড়া, বর্ধমান জেলার উর্ত্তীণদের লিঙ্ক খুলছে। শুধু একটি ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে তা’হল যাঁরা হাইস্কুলের প্যারা টিচার কোটায় আবেদন করেছেন তাঁদের নিয়ে জটিলতা আছে। নিয়ম অনুযায়ী হাইস্কুলের প্যারা টিচাররা প্রাথমিক শিক্ষকপদের কোটা পেতে পারেননা। এক্ষেত্রে ভেরিফিকেশনে থাকা আধিকারিকদের ভুল হয়েছে। গোড়াতেই তা জানিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। তবে পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে প্রাথমিকের প্যারা টিচার হিসাবে যারা আবেদন করেছিলেন তাঁদের সবাই-ই প্রায় নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular