ওয়েব ডেস্ক : সাপ্তাহিক লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষনা করেছে রাজ্য। ফলে এবার অন্যান্য পরিবহনের পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান ওঠানামা বন্ধের জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের এই আর্জিতে সায় দিল কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। এরপরই কলকাতা বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু রাজ্য সরকারের তরফে আগামী শনিবার এবং বুধবার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেহেতু এই দু’দিন কলকাতায় কোনও বিমান ওঠানামা করবে না।
যেহেতু রাজ্যে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে সে কারণে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত করোনাভাইরাস প্রভাবিত ছ’টি শহর – দিল্লি, মুম্বই, পুণে, চেন্নাই, নাগপুর এবং আমদাবাদ থেকে কলকাতায় উড়ান না নামার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবারও সপ্তাহে দু’দিন লকডাউনের সময়ও কলকাতায় উড়ান ওঠানামার বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে অনুযায়ী বুধবার রাতে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, লকডাউনের দিন ট্রেন বা উড়ান চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে একেবারেই অন্য চিত্র ধরা পড়লো৷
মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই এদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান উড়লো। মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিভাবে লকডাউনে বিমান উড়ালো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক স্তরে কীভাবে এত বড় ফাঁক তৈরি হল, তা নিয়ে সারাদিন তোলপাড় হয় নবান্ন। একইসঙ্গে ঠিক হয়, সপ্তাহে দু’দিন যে লকডাউনের ঘোষণা করেছে, সেই সময় যেন কলকাতায় বিমান চলাচল না করে, সেজন্য কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানো হবে।
এরপর রাজ্যের আর্জিতে সায় দেয় কেন্দ্র। শুক্রবার বিমানবন্দ আধিকারিকরা জানান, আগামী শনিবার এবং বুধবার কলকাতায় কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। তবে যেহেতু সাপ্তাহিক লকডাউন, সেক্ষেত্রে পরের লকডাউনের দিনগুলিতে বিমান ওঠানামা করবে কিনা, তা বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়নি। তবে যদি আগস্টেও সাপ্তাহিক লকডাউন প্রক্রিয়া চলে তবে ফের বিমান বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।