শশাঙ্ক প্রধান: বিধানসভার ভোট গননার আর ৪৮ ঘন্টাও বাকি নেই তার আগেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সবং। শুক্রবার ভর দুপুরে এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়েছে এক তৃনমূল কর্মীর পোল্ট্রি ফার্মের একাংশ। সামনে ভোট গণনা থাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির পারস্পরিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে তৃনমূল ও বিজেপির মধ্যে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনাটি দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের মোহাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মোহাড় পূর্ব সংসদে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রচন্ড রোদে গ্রামের সাধারণ মানুষজন মোটামুটি ঘরের মধ্যেই ছিলেন। হঠাৎই বিকট ওই আওয়াজে কেঁপে ওঠে চারদিক। ওই শব্দের উৎস লক্ষ্য করে ছুটে আসেন আশেপাশের প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখতে পান উড়ে গেছে পোল্ট্রি ফার্মের একাংশ আ্যসবেস্টারের চালা। কালো ধুঁয়ায় চারদিক ছেয়ে রয়েছে, বাতাসে বারুদের বিকট গন্ধ।
যে বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির এক গৃহিণী সন্ধ্যারানী মন্ডল জানিয়েছেন, ‘বাড়িতে পুরুষ মানুষ বলতে কেউ ছিলনা। আমার শাশুড়ি অসুস্থ, এক জাও অসুস্থ। আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎই এই আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি ধোঁয়ায় ভরে আছে চারদিক। আমরা খুবই আতঙ্কে আছি।”পরিবারের কর্তা মদন মন্ডল ও তাঁর দুই ছেলে সূর্যকান্ত ও চন্দ্রকান্ত পেশাগত কারনে গ্রামের অন্যত্র ছিলেন। তৃনমূলের কর্মী এবং সমর্থক এই পরিবারটির দাবি কেউ এই কাজটি করে গেছে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে।
স্থানীয় তথা তৃনমূলের সবং ব্লকের নেতা লালমোহন ভূঁইয়ার দাবি, ‘২ তারিখে ভোট গণনা, তার আগে পরে এলাকাকে সন্ত্রস্ত করতে কেউ ওই বোমা রেখে গিয়েছিল।’ যদিও তিনি সরাসরি কারও নাম বা দলের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, ‘ যেহেতু ওরা তৃনমূল করে তাই ওদের বদনাম করার উদ্দেশ্যে নিয়েই এই বোমা রেখে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে গোটা গ্রাম। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রচন্ড রোদের তাপে আ্যসবেস্টারের তলায় মজুত বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে।
বিজেপির তরফে আঙুল তোলা হয়েছে অবশ্য লালমোহন বা লালু ভূঁইয়ার দিকেই। তারা বলেছে, ‘নিজের বুথের নিজস্ব কর্মীর পলট্রি ফার্মে বোমা মজুত করেছিলেন লালুই। নির্বাচনের সময়কার বেঁচে যাওয়া বোমা ভোট গননার পর ব্যবহার করার জন্যই রাখা হয়েছিল। উদ্দেশ্য বিজেপি কর্মীদের সন্ত্রস্ত করা।’ বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, ‘লালুর দাপটে ওই এলাকার দুটি বুথে এজেন্টই দিতে পারিনি আমরা তো ওই জায়গায় গিয়ে বোমা রেখে আসতে যাবে কে?” উল্লেখ্য নির্বাচনের প্রাক্কালে বারবার সংঘর্ষ হয়েছে এই এলাকায়। মৃত্যুর মত ঘটনাও ঘটেছে।