নিউজ ডেস্ক: নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে নয় বরং সহবাস করেছেন,এই বিবৃতি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহান।তার এই বিবৃতির পর থেকে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি এবং টলিপাড়া।নিয়মমাফিক নুসরতকে খোঁচা দিয়েছেন অনেকেই।শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কত বড় প্রতারক। একজন সাংসদ। তৃণমূল যাকে প্রার্থী করেছে। তিনি বলছেন আমার বিয়েই হয়নি। অথচ সিঁদুরের ফোঁটা লাগিয়ে বোকা বানিয়ে পুজো উদ্বোধন করে, রথ টেনে বোকা বানিয়ে ভোট জিতে বেরিয়ে গেলেন? যার বিয়েই হল না, তার নিমন্ত্রণ কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী খেলেন? বিয়ে না করে সিঁদুর পরে, তাঁর বাচ্চাও হয়ে যাচ্ছে? আমাদের বাংলার রাজনীতি আর কত নিচে নামবে? আড়াই লাখ ভোটে জিতেছেন। বাংলার মানুষকে আর কত বোকা বানানো হবে?”
এর আগে বৃহস্পতিবারও একই ইস্যুতে নুসরতকে খোঁচা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রীতিমতো বোমা ফাটিয়ে তিনি বলেন, “বসিরহাটের ভোটাররা তাঁকে সাংসদ নির্বাচিত করেছেন। এখন আপনারাই ঠিক করুন, উনি বিয়ে করেছেন কিনা, কাকে করেছেন, কবে করেছেন। মা হতে চলেছেন, সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ভেবে দেখুন, যাঁকে আড়াই লক্ষের বেশি ভোটে জিতিয়েছেন, তিনি কে বা তাঁর পরিচয় কী? বিয়ে না করে সিঁদুর লাগিয়ে হিন্দুদের বোকা বানিয়ে ভোট নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি খুবই লজ্জার।
দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমার মনে হয় তিনি নির্বাচনের জন্য বিয়ে করেছিলেন। নির্বাচন হয়ে গিয়েছে সত্যি কথা বেরিয়ে এসেছে।” তার আগেই যদিও সংসদে শপথ নেওয়ার ভিডিও ট্যুইট করে নুসরতকে খোঁচা দেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সংসদে দাঁড়িয়ে সেই সময় নিজেকে নিখিল ঘরনী বলেই দাবী করেছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। তবে কি সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলেছিলেন নুসরত, সেই প্রশ্ন করেন তিনি। যদিও তাঁদের এই মন্তব্যের পালটা জবাব দেয় তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোঁচা না দেওয়ার কথা ট্যুইটে জানান।
এদিকে, নুসরতের বিস্ফোরক বিবৃতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি বিনোদুনিয়াতেও শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র নুসরাতের বিস্ফোরক বিবৃতির পর লোকসভার সাইটে নুসরতের স্বামী হিসাবে নিখিল জৈনের নাম উল্লেখিত অংশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। কমেন্টে তারই বিরোধিতা করেন অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়। কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করা অনুচিত বলে দাবী করেন তিনি।