নিজস্ব সংবাদদাতা: একটি বাস ছেড়ে গেছিল আগেই। পরের গঞ্জতে সেই বাস সব যাত্রী তুলে নেবে তাই পরের বাসটি ছুট ছিল জোর গতিতে। আর তারই খেসারত দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার দুই ভাইবোন। বাড়ির ঠিক সামনেই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দিদির , গুরুতর আহত ভাই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শালবনীর কুড়াজুড়িতে। মৃতের নাম সুলেখা মন্ডল (৩৫), গুরুতির আহত ভাই এর নাম বাদল মন্ডল (৩০)। আহতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেদিনীপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। মৃতার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মুড়ি বিক্রি করে সাইকেলে করে ফিরছিলেন নিজেদের বাড়িতে ভাইবোন। সেই সময় কুড়াজুড়িতে রাস্তা পেরোনোর সময় ঝাড়গ্রাম গোয়ালতোড় গামী একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তা় তীব্র গতিতে এসে সজোরে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় সুলেখা মন্ডলের । অপর জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে আশঙ্কা জনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাসটি পলাতক কোনো হদিস নেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কয়েকজন বাসযাত্রী দাবি করেছেন, দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে মনিকাঞ্চন নামের একটি বাস। এই বাসটি মেদিনীপুর থেকে পিড়াকাটা হয়ে গোয়ালতোড় থেকে বাঁকুড়ার ভেতর দিয়ে ঝাড়গ্রামে ফেরে। হিসাব অনুযায়ী বাসটির দুপুর ১টা ১৫তে গোয়ালতোড় ঢোকার কথা। কিন্তু বাসটি দেরিতে চলায় ওই রুটেরই আরেকটি বাস ‘নিশা’ তার আগেই ছুটছিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পাছে ওই বাসটি গোয়ালতোড় থেকে যাত্রীদের তুলে নেয় তাই দুরন্ত গতিতে ছুটছিল ঘাতক বাসটি। আর সেটা এতটাই দ্রুতগতিতে ছিল যে রাস্তা পের হতে চাওয়া সাইকেল আরোহী দুই ভাইবোনকে দেখেও গতির নিয়ন্ত্রন রাখতে ব্যর্থ হয়। এরপর কোনও স্টপেজেই না দাঁড়িয়ে বাসটি সোজা বেরিয়ে যায়। বাসটির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও পুলিশ ঘাতক বাসের নাম জানায়নি।