নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিনপূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের এক শীর্ষ আধিকারিকের বাংলো থেকে নগদ ও গহনা, সরঞ্জাম মিলিয়ে অন্ততঃ ৪০লক্ষ টাকা মূল্যের সম্পত্তি চুরি হয়ে গেছে। অনুমান করা হচ্ছে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে শনিবার রাতে। ঘটনার সময় ওই আধিকারিক শহরের বাইরে ছিলেন এমনটাই জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রেলের খড়গপুর ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক তথা সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ” সিনিয়র ডিওএম পদাধিকারী বিনীত কুমার কিছুদিন হল কলকাতায় বদলি হয়েছিলেন সেই সূত্রেই গত চার পাঁচদিন কলকাতাতেই ছিলেন উনি। সেই সুযোগই এই ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া সম্পত্তির পরিমান টাকার অঙ্কে যথেষ্টই বেশি। তবে কী কী ছিল তার বিস্তারিত আমার জানা নেই।”
করোনা জর্জরিত শহরে এমনিতেই নাস্তানাবুদ পুলিশ। লকডাউন বলবৎ, মাস্কের ওপর নজরদারি, বাজারে ভিড় ইত্যাদি সামলানোর পাশাপাশি নিত্যদিন বেড়েই চলেছে কন্টেনমেন্ট জোন। তারই মধ্যে এতবড় চুরির ঘটনায় মাথা ব্যথা পুলিশ কর্তাদের। খড়গপুর সেরসা স্টেডিয়াম ও সাউথ ইনস্টিটিউটের উল্টোদিকে অবস্থিত যে বাংলোতে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে তার দুপাশের দু’শো মিটারের মধ্যে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আর এসডিপিও খড়গপুরের বাংলো আর ১০০মিটারের মধ্যে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বা ডিআরএমের বাসস্থান।
খবর পেয়েই তাই ওই দুই শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক, খড়গপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক রাজা মুখার্জী ছুটে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে নগদ চার লক্ষ টাকা ছাড়াও চুরি হয়েছে ১০ থেকে ১৫টি স্বর্নমুদ্রা, আনুমানিক ৪কেজি রুপোর গহনা, মুর্ত্তি,বাসন ইত্যাদি, ২টি হীরক খচিত হাতের বালা। পুলিশ জানিয়েছে, কোথাও কোনও কিছু ভাঙা হয়নি। সবই নিখুঁত কায়দায় আলমারি বা অন্যান্য জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে যার থেকে অনুমান করা হচ্ছে খুবই পরিচিত কেউ এই কাজ করেছে।
বাংলোকে ঘিরে সাবেক আমলের কয়েকটি পরিত্যক্ত আউট হাউস আর সংলগ্ন এলাকায় বানিয়ে নেওয়া কিছু বেআইনি ঝুপড়িতে কিছু মানুষ বসবাস করে থাকেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ নানা কারনে বাংলোতে যেতেন। এছাড়াও ছিল নাইট গার্ড, পরিচারক, মালি ইত্যাদি। এঁদেরই মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।