Homeসাহিত্যরবিয়াণীঅপেক্ষার অন্ধকার

অপেক্ষার অন্ধকার

✍️কলমে: অভিজিৎ রায়


(দ্বিতীয় পর্ব)

অপেক্ষার অন্ধকার নিয়ে আলোচনার আগে অপেক্ষার আলো নিয়ে কথা বলা ভালো। মেঘের অপেক্ষায় থাকা কৃষকের কথা ভাবুন। ভেবে নিন খরা, অকাল বর্ষা বা প্লাবনের কথাও। কখন কীভাবে কে আলো থেকে অন্ধকার আঁকতে পারে অথবা অন্ধকার থেকে আলো তার নির্ধারক সময়। হ্যাঁ অপেক্ষার আলো জুড়ে থাকে সময়ের বিশাল ভূমিকা। অপেক্ষার অন্ধকার যেমন অহল্যার মতো পাথর হয়ে জীবন কাটায়, ঠিক তেমন নয়। অপেক্ষার আলো চকিতে চকচক করতে শেখায় লোভের চোখ অথবা হঠাৎই নিশ্চিন্ততা থেকে অনিশ্চিত জীবনের থ্রিলার রচনা করতে সক্ষম হয়ে পড়ে। এই নিয়ে কম, বেশি সকলেরই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা থাকায় কথাগুলো অশৌচকালে পরিধেয় সাদা থানের মতো শোনালেও লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা সময় অবশ্যই বুঝবে। সৃষ্টিশীল মানুষের যাবতীয় অপ্রাপ্তি ও অতৃপ্তির যন্ত্রণা মুছে দিয়ে অপেক্ষার আলো কখনো কখনো এক নতুন জীবন এনে দেয় সামনে। অবিশ্বাসের নরকে স্বর্গের বাগানের ফুলে পুজো নিতে সামনে আসেন ঈশ্বর। মানুষের বেশে, মানুষকে ভালবেসে মানুষই মানুষের হাত ধরে আর অপেক্ষার আলো থেকে এক অদ্ভুত তাপ নির্গমনের ফলে সমস্ত অশুভ শক্তি পরাজিত হয়। অপেক্ষার আলো, সৃষ্টিশীল মানুষ আর অশুভ শক্তির এই ইতিহাস প্রতিদিন রচিত হচ্ছে অপেক্ষার অন্ধকারের ছায়ার আড়ালে। ছায়া শব্দের সাথে কত সহজেই আলো শব্দটি জুড়ে বসে অথচ অন্ধকার আর ছায়ার শরীর সাবলীলভাবে মিশে যায় অন্তরের মিল না থাকলেও। অপেক্ষার আলো শুধু উত্তাপের খোঁজে মিল, অমিলকে তুচ্ছ করে এগিয়ে যায় অপেক্ষার অন্ধকারের দিকে। এই অন্তর্জলিযাত্রা নিয়ে আর কি কিছু বলার আছে?

(চলবে)

RELATED ARTICLES

Most Popular