ওয়েব ডেস্ক: করোনার দাপটে মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষা। লকডাউনের পর বকেয়া পরীক্ষাগুলি হবে কিনা তা নিয়েও বেশ খানিকটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। শেষ অবধি অবশ্য সুপ্রিম কের্টের হস্তক্ষেপে সেই জটিলতা কেটেছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে অবশেষে শুক্রবার আইসিএসই ও আইএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশিত হল। এর জেরে স্বস্তিতে পরীক্ষার্থীরা। তবে ফল প্রকাশিত হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিবছরের মতো এবছর আর মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে৷ তবে এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের হাতে কিভাবে রেজাল্ট দেওয়া হবে তা নিয়েও একটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বোর্ডগুলি। অবশেষে রেজাল্টের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রত্যেক বছরের তুলনায় এবছর আইসিএসই বোর্ডের পাশের হার অনেকটাই বেশি। এবছর দশম শ্রেনীর হার ৯৯.৩৪%। দেশে পাশ করেছে ২,০৬,৫২৫ জন এবং অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১৩৭৭ জন। এ রাজ্যে পাশ করেছে ২৪ হাজার ৪৫৩ জন। পাশাপাশি এবছর আইসিএসই বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশের হার ৯৬.৮৪%। অন্যদিকে আইএসই বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৫,৬১১ জন এবং পাশ করতে পারেননি ২৭৯৮ জন। পাশাপাশি যেহেতু এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই পড়ুয়াদের হাতে রেজাল্ট তুলে দেওয়া সম্ভব নয় সেহেতু ডিজিটাল স্বাক্ষর করা রেজাল্ট, পাশের সার্টিফিকেট ও মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট পড়ুয়াদের দেওয়া হবে বলেই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে। সেই সাথে বোর্ডের তরফে সমস্ত পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি ফলাফল আশাপ্রদ না হয় সেক্ষেত্রে আগামী সাতদিনের মধ্যে বোর্ডের নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে নম্বর পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো যাবে।
এদিকে শুক্রবার রেজাল্ট বেরোনোর পর পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বলেন , “চলতি বছর আইসিএসই ও আইএসই-র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই। যে যন্ত্রণার সম্মুখীন তোমরা হয়েছ, আশা করি আগামী দিনে তোমাদের সাফল্যের পিছনে সেই শিক্ষা কাজে লাগবে। এই পরিস্থিতি সহ্য করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বাবা-মায়েদের প্রশংসা করছি। ভালো থাকুন। আপনাদের স্বপ্ন সত্যি হোক।”