ওয়েব ডেস্ক : একেই করোনা আতঙ্কে জেরবার সাধারণ মানুষ। তারওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নিয়ে জট কিছুতেই কাটছে না। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা নিয়ে নানারকম সমস্যা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই কয়েকদিন আগে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ফাইনাল সেমিস্টার নিতে হবে বলে ইউজিসি-র তরফে নতুন গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। কিন্তু ইউজিসির এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য। এমনকি ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনের তরফে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠিও লেখা হয়েছে। এরপরই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সে অনুযায়ী শুক্রবার রাজ্য উচ্চদপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনের সাথে রাজভবনে বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল।
শুক্রবার সকালে এবিষয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল। টুইটে লেখেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে কথা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে উচ্চশিক্ষা সচিব আজ রাজভবনে আসছেন। ১৫ জুলাই উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথভাবে আমরা ইউজিসি-র সঙ্গে কথা বলব। শিক্ষার্থীরা আমার হৃদয়ের খুব কাছে রয়েছেন। তাঁরাই আমার অগ্রাধিকার।” একেই করোনা পরিস্থিতি তার ওপর পরীক্ষা নিয়ে এভাবে জল ঘোলা হওয়ায় আদৌ পরীক্ষা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনার সাপেক্ষে এবছর রাজ্যের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছিল শিক্ষা দফতর। ইউজিসির তরফেও প্রথমে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্থির হয়েছিল, পরীক্ষার্থীদের আগের সেমিস্টারে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে কিংবা অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ুয়াদের ফলপ্রকাশ করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে ইউজিসির নির্দেশিকা জারি করা হয়। জানানো হয় পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্বের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হবে নাকি অথবা অনলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের উপর।
কিন্তু অন্যন্য রাজ্য ইউজিসির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও চিরাচরিতভাবে তার বিরোধীতা করে রাজ্য। রাজ্যের তরফে জানানো হয় বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে পরীক্ষা নেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়৷ এরপরই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন চিঠি লিখে ইউজিসির গাইডলাইন পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানানো হয়। এদিকে একেই লকডাউনের কারণে কয়েকমাস যাবত আটকে রয়েছে ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা। এর জেরে পরবর্তীতে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত তারা। তারওপর বারংবার সিদ্ধান্ত বদলে পড়ুয়াদের মনে আরও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।