নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ অবধি জীবন দিয়েই প্রনয়ের মূল্য চোকালেন কাকিমা ও ভাসুর পো। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার একটি জঙ্গল থেকে একই দড়িতে ফাঁস দেওয়া দুটি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সাত সকালে জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে একটি গাছে ঝুলতে থাকা দুটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে গড়বেড়িয়া গ্রামে খবর পাঠায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে উদ্ধার করে মৃতদেহ দুটি। পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত যুবকের নাম গৌতম দাস (৩০), মহিলা, মমতা দাস (৩২)।
গড়বেতার চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়বেড়িয়া গ্রামে মমতার বাপের বাড়ি। বিয়ে হয়েছিল কেশপুর থানার একটি গ্রামে। বছর দশেকের বিবাহিত জীবন মমতার। দুটি সন্তানের বয়স ৭ এবং ৯। কেশপুরের বাড়িতেই ভাসুরের ছেলের সঙ্গে বিবাহোত্তর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মমতা। পরিবারে এ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছিল অনেকদিন আগেই। আর সেই সমস্যার কারনে ছেলে মেয়েকে বাপের বাড়িতেই রাখতেন। মাঝে মধ্যে যাতায়ত করতেন। সেরকমই কয়েকদিন আগে এসেছিলেন বাপের বাড়িতে।
মমতার বাপের বাড়ি সূত্রে জানা গেছে ভাসুর পো গৌতম এসেছিল বুধবার দুপুরে। বিকালের কিছু পরে একটি সাইকেল নিয়ে দুজনে বেরিয়ে কিছু কাজ আছে বলে। এরপর ফেরেনি সারারাত। তারপর বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হয় দুজনের মৃতদেহ। পাশেই পাওয়া গেছে একটা সাইকেল, কিছু টাকা আর ছোট কাগজে লেখা ছ’টি শব্দ, “আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়।” পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।