নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুরের করোনাকে ম্যানেজ করা হয়ে যাচ্ছিল বলে কোনও কোনও মহল থেকে যে গা ছাড়া ভাব দেখানো হয়েছিল তাঁদের জন্য অত্যন্ত দুঃসংবাদ, বুধবার খড়গপুর শহরে ফের ৪ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এই চার জনের মধ্যে তিন জন রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ান অন্য জন রেল হাসপাতালের একজন সাফাই কর্মী।
বারবারই খড়গপুরকে সতর্ক করা হয়েছে মাস্ক পরার জন্য, সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার জন্য কিন্তু নেতা থেকে জনতার একটি অংশ বারবারই বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়ে যাচ্ছেন আর তারই ফল স্বরূপ শহরে করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বুধবারও তার ব্যতিক্রম হলনা। জানা গেছে দিন কয়েক আগেই এক সঙ্গে ৭ জন করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছিল যার মধ্যে ছিলেন একজন আরপিএফ বা রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ান। বর্তমানে রেলেরই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তাঁরই সংস্পর্ষে আসা কয়েকজনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল যার মধ্যে রেল সুরক্ষা বাহিনীর আরও ৩ জওয়ান আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে রেল হাসপাতালের এক সাফাইকর্মী অসুস্থ বোধ করায় তাঁর নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল, তিনিও পজিটিভ এসেছেন। উল্লেখ্য এপ্রিল মাসেই রেল সুরক্ষাবাহিনীর জওয়ানদের হাত ধরেই প্রথম খড়গপুর শহরের করোনার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। একে একে আক্রান্ত হন ১২ জন জওয়ান যার মধ্যে খড়্গপুরেরই ৬জওয়ান ছিলেন। পরে ফের ২জন জওয়ান আক্রান্ত হন। যদিও আক্রান্ত জওয়ানদের প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। সেই পর্ব চুকে যাওয়ার পর আবার করোনার বড়সড় হামলা রেল সুরক্ষা বাহিনীতে।
এদিকে আরও বিপদ ঘনিয়েছে রাতের দিকে চলে আসা আরও একটি রিপোর্ট যেখানে বলা হচ্চে খড়গপুরে আরও ৯ জনের অমীমাংসিত ফলাফল এসেছে। এবং ৯টি সম্ভবত রেল এলাকার। খড়গপুরের নতুন হিসাব বলছে অমীমাংসিত ফল এলেই ভাল হারে পজিটিভ বের হয়ে আসছে। শেষবার ৫টি অমীমাংসিত থেকে শহরে ৪জন পজিটিভ বেরিয়েছিল। সুতরাং বৃহস্পতিবার ওই ৯টি অমীমাংসিত থেকে কজন পজিটিভ বের হয় দেখার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, খড়গপুর শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই সপ্তাহেই ৫০ছড়িয়ে যাবে।
অন্যদিকে বেলদা শহরের এক প্রাথমিক শিক্ষকও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে বেলদা শহরের ওই শিক্ষক বিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। শিক্ষকের আত্মীয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেই কারণে তাঁকে প্রায়ই হাসপাতালে যাতায়ত করতে হত। সোমবার নিজের কিছু সমস্যার কারনে বেলদা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে তাঁর নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছিল বুধবার তা পজিটিভ এসেছে। খড়গপুরের আক্রান্তদের রেলের হাসপাতালে এবং বেলদার আক্রান্তকে মেদিনীপুর করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।