বিশেষ সংবাদদাতা: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে কালনাগিনীর সঙ্গে তুলনা করে তাকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আক্রমণ করতে গিয়ে তাকে মিথ্যাবাদী ও ‘ চিফ এক্সিকিউটিভ সেলস ম্যানেজার ‘ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি ।
অর্থমন্ত্রীকে কালনাগিনীর সঙ্গে তুলনা করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” কালনাগিনী সাপের কামড়ে যেভাবে মানুষ যায়, সেই একই রকম ভাবে নির্মলা সীতারামণের জন্য মানুষ মারা যাচ্ছে । তিনি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। তিনি হলেন দেশের নিকৃষ্টতম অর্থমন্ত্রী । তার কাজের জন্য তার নিজের লজ্জা পাওয়া ও পদত্যাগ করা উচিত ।”
রবিবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে একটি সভায় এই ভাবে বিজেপিকে আক্রমণ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিন ওই সভা ছিল বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটিতে। শনিবার বিকেলে একই রকম প্রতিবাদ সভা হয় বাঁকুড়া শহরের মাচানতলাতে। সেখানেও অর্থমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে ছাড়েন নি এই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ । এর আগেও এই ধরনের নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি । কিন্তু এদিনের বক্তব্য ছাড়িয়ে গেছে সব কিছুকে।
শুধু মাত্র নির্মলা সীতারামণকে কালনাগিনী র সঙ্গে তুলনা করা নয়, প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী । ” তিনি হলেন কেন্দ্রীয় সরকারের চিফ এক্সিকিউটিভ সেলস ম্যানেজার । সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছেন। কয়লাখনি, রেল, সমবায় ব্যাংক সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছেন।”
বিজেপি নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন। এই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের লাল চোখ হলুদ করে দেব বলে এদিন মন্তব্য করেছেন তিনি । বলেন, আমরা সিপিএমের লাল সন্ত্রাস উপড়ে ফেলে দিয়েছি। তখন দিলীপবাবুরা কোথায় ছিলেন? এখন তিনি লাল চোখ দেখাচ্ছেন । তার লাল চোখ আমরা হলুদ করে দেব । ” এরপরেই গঙ্গাজলঘাটির সভায় দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিলীপ ঘোষের লাল চোখ হলুদ করে দেওয়ার মতো মনোবল থাকলে তৃণমূল কংগ্রেস করুন, দলে থাকুন । না হলে ঘরে বসে যান বা বিজেপিতে চলে যান ।