বিশেষ সংবাদদাতা: বীরভূম জেলার খয়রাশোল এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর খুনের ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত্ত্বই প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে । শনিবার সকালে খয়রাশোল থানার রানিপাথর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়, আমজোলা গ্রামের বাসিন্দা, শিশির বাউরি নামে এক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ । এই খুনের ঘটনা য় পুলিশ গ্রেফতার করেছে চারজনকে। ধৃতদের রবিবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
জানা গিয়েছে যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয় তারা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কিশোর মন্ডলের অনুগামী ।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে যে ধৃতরা হল সঞ্জয় বাউড়ি, গনেশ বাউড়ি, অজয় দাস ও দিনু দাস । ধৃতদের চোদ্দ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হলেও আদালত সাত দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে ।
এই চার জন নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করলেও দাবি করে যে তারা খুনের বিষয়ে কিছুই জানেন না । তাদের ফাঁসানো হয়েছে । তারা দাবি করে যে শুক্রবার রাতে খাওয়ার পরে তারা নিজেদের বাড়ি ফিরে যায় ও শনিবার সকালে জানতে পারে যে রানিপাথর গ্রামে পাওয়া গিয়েছে শিশিরের মৃতদেহ ।
শিশিরের মৃতদেহ পাওয়ার পর তার স্ত্রী বুলু বাউরি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কিশোর মন্ডল সহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি যে অভিযোগ করেন তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী বিবাদে র ইঙ্গিত ছিল । তার অভিযোগ ছিল, পিকনিক করার নাম করে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় । ডেকে নিয়ে যায় কিশোর মন্ডল ও তার লোকজন । তারাই ওই খুন করেছে ।
যদিও কিশোর মন্ডল ও এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা দাবি করেন যে ওই খুনের ঘটনা য় বিজেপির হাত আছে।
জেলার বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি যে এটা তৃণমূল কংগ্রেসের নিজেদের মধ্যে বিবাদের ফল। যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা তো ওদেরই লোক । লাভপুরের খুনের ঘটনাও তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী বিবাদে র কারণে হয়েছে ।
তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা নেতা বিকাশ রায়চৌধুরি অবশ্য এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন । তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। যারা দোষী তারা শাস্তি পাক। এর বেশি কিছু বলছি না ।
বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে ।