নিজস্ব সংবাদদাতা; ঝাড়গ্রাম : একদা লাশের পাহাড় গোনা রক্ত স্নাত দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে লালগড়ের এক ক্ষেতের তলা থেকে উঠে এল একনলা বন্দুক। বন্দুকের খসে যাওয়া বাঁটই বলে দেয় এখনকার নয়, বহু আগে ব্যবহৃত হয়েছে এই অস্ত্র। অর্থাৎ যে পর্বে এই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত খুনে মাওবাদীর দল, বিপ্লবের নামে যারা এই জঙ্গলমহলে নির্বিচারে খুন করত নারী পুরুষ থেকে কিশোর বৃদ্ধকে।
বুধবার সকালে বন্দুকটি উদ্ধার হয়েছে লালগড়ের পাপটপুর এলাকার একটা চাষের জমি থেকে। যাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্থানীয় কংসাবতী নদীর তীরে ট্রাক্টরে চাষের জমিতে লাঙল করছিলেন মিঠুন বেজ নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে। সেই সময় রোটারের ফলায় মাটির গভীর অংশ থেকে উঠে আসে ক্ষয়িষ্ণু বন্দুকটি যার কাঠের বাঁটটি পুরোপুরি খসে পড়া, মরচে পড়ে জীর্ন হয়ে পড়েছে লোহার অংশও।
গ্রামবাসীরাই খবর দেয় পুলিশকে। খবর পেয়ে লালগড় থানার পুলিশ গিয়ে বন্দুকের খন্ডটি উদ্ধার করে থানায় আনে।
ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন,” আনুমানিক ১৫ বছরের পুরনো একটি এক নলা বন্দুকের নল পাওয়া গিয়েছে। বহু বছর আগে দুষ্কৃতীরা ওই বন্দুকটি পুঁতে রেখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বন্দুকের কাঠের বাঁটটি একেবারে মাটিতে মিশে গিয়েছে।”