✒️কলমে: শান্তনু প্রধান
প্রাইমারি দরজায় দাঁড়িয়ে আছে জ্ঞাতি সম্পর্কিত শিখা
তার এক প্রান্তে হলুদ বিকেলের তরল
অন্য প্রান্তে মধ্যরাতের কোলাহল গায়ে মেখে
ভোরের কিছু কাক দুর্বল মিছিলে ডানা খুলে রাখলো
সেইসব দ্রোহের অফুরান দ্বন্দ্ব
চুপিসারে সর্বনাশের সিঁড়ি বেয়ে আরো ওপরের দিকে উঠে যায়
শুধুই যন্ত্রণার স্বাদ বুঝেছে মানুষের অতল উগরে দেওয়া অন্ধকার
স্কুল থেকে ফিরে আসা কিশোরীর জ্যোৎস্না ভেজা পা
দেশদ্রোহী নয় কিংবা আততায়ীও নয় জানতো সবাই
তবুও যে কেন নীরব তারার কোলে বিনুনি রেখে
শূন্যে দুলছে জ্যোৎস্না ভেজা দুটি পা
এই পারিবারিক স্বদেশ কাদের কাছে বিকিয়ে আছে
কোন দরজার আড়ালে লুকিয়ে ছিল কৃষ্ণচূড়ার সম্মতি
অ্যাশস্ট্রে থেকে ছাই উড়ে গিয়ে ফুটে ওঠে ভালোবাসার প্রস্রবণ
এই কি তবে অপাংক্তেয় গর্ভবতীর অন্ত্যমিল
বাস্তবিক
শান্তনু প্রধান
এপারে শুধু দ্বিধাথরথর জ্যোৎস্নার অতীত
টুকরো কাগজে ছড়িয়ে আছে বিপন্ন ধুলোর যাপন
বধিতে তোমার ফুলের রঙে নগ্ন কিছু ছায়া
অবেলায় সেই ইচ্ছামতী নদী গর্ভগৃহ ছুঁয়ে
ওপারের ক্রন্দন ভেজাআকাশে দ্রুত নেচে ওঠে
তবুও তো কেউ সন্ধ্যেবেলায় বৈদ্যুতিক তারে পূর্ণত মূক
আকাশের ওপারে আন্দোলিত চিকচিক কিশোরীর অতীত
এপারের পৃথিবীতে শ্রাবণের মত প্রেম খেলা করে
তবু হেঁটে যায় বুভুক্ষু স্বপ্নের লৌকিক আলো
সতর্কতা ছাড়াই এলোমেলো মুহূর্তের শেষ বিকেল
বাস্তবিক পুড়ে যায় নির্বোধের সিগারেটে
কাদের আত্মসমর্পনে মনোযোগী নিঃসঙ্গতা
খুঁটে আনে অতীত ছুঁয়ে থাকা আঙুলের ছায়া
অনেক দূরে যে অপার্থিব পুংলিঙ্গ চৈতন্য হাতড়ায়
স্পষ্টত তুমি জানো তার নির্লিপ্ত আকাশের স্বচ্ছ ভাষা
শেকড়ে শেকড়ে প্রজ্ঞা অবনত কঙ্কাল বেজেই চলেছে