নিজস্ব সংবাদদাতা: গোটা পুলিশ লাইন জুড়ে কারা যেন রটিয়ে দিয়েছে লাইনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে করোনা আক্রান্ত হনুমান! ব্যস, আতঙ্কে মাথা খারাপ আবাসনের বাসিন্দাদের। মাস দুয়েক আগেই পুলিশ লাইনের গেটের মুখেই বসানো হয়েছে স্যানিটাইজ ট্যানেল।মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে ঢুকতে বা বেরুতে গেলে সেটার ভেতর দিয়েই যাতায়ত করতে হয়। দারুন একটা নিশ্চিন্তভাব ছিল। কিন্তু হনুমান তো আর সেই পথে আসেনি। ফলে গেল গেল রব।
হনুমান বাবাজীর নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই, মুখ দিয়ে লালা ঝরছে অনবরত। আর তাই দেখেই কে রটিয়ে দিল করোনা আক্রান্ত হনুমান এটা! পুলিশ আবাসনে সেই অসুস্থ হনুমানকে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নিমেষে। চ্যাংড়া কিছু ছেলের দল আবার হনুমানকে মাস্ক পরাতে গেছিল। তাই দেখে দাঁতমুখ খিঁচিয়ে উঠল রামভক্ত।
লকডাউনের কড়াকড়া শিথিল হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠেছে। আনলক পর্বে আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। ছেলে ছোকরার দল হুটহাট বেরিয়ে পড়ছে লাইন থেকে।ফলে বাবা মার চিন্তা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। পাছে তাদের হাত ধরে না লাইনে করোনা ঢুকে পড়ে। সেই আতঙ্কের মধ্যেই এবার নয়া মাত্র যোগ করল একটি অসুস্থ হনুমান!
মেদিনীপুর শহরের পুলিশ লাইনে কোয়ার্টারের সংখ্যা ১২। তারই একটিতে সপরিবারে থাকেন শেখ আলকাশউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার সকালে যখন প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফেরেন, তখন আবাসনের নিচের তলায় সিঁড়িতে একটি হনুমানকে বসে থাকতে দেখেন তিনি। আলকাশের দাবি, হনুমানটি কার্যত নড়াচড়ার করারও ক্ষমতা ছিল না। অসুস্থ ভেবে প্রথমে জল ও খাবার দিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব সে মুখেই তোলেনি। সিঁড়ি দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছিল না, হনুমানটির আচরণে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পুলিশ আবাসনের বাসিন্দারা।
খবর যায় পুলিশ লাইনের আরআইয়ের কাছে। আবাসিকদের কাছ থেকে খবর পেয়েই তিনি খবর পাঠান বনদপ্তরে। জাল আর খাঁচা নিয়ে অনেক কষ্টে হনুমানটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বনকর্মীরাই নিয়ে যান পশু চিকিৎসকের কাছে । বনদপ্তর সূত্রে খবর, হনুমানটি গুরুতর অসুস্থ তার মুখে সংক্রমন হয়েছে। চিকিৎসার করার পর সুস্থ হলে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তার করোনা আছে কিনা জানা যায়নি কারন পরীক্ষা করা হয়নি।