ওয়েব ডেস্ক : আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে এতদিন বারংবার দু্র্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার একেবারে উল্টো সুর। এক্ষেত্রে শাসকদল নয় বরং ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে৷ হুগলির পাণ্ডুয়ার বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুন গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম দুটি বুথই বিজেপি পঞ্চায়েতের অধীনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আমফানে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রানের টাকা না পেয়ে সেই টাকা ঢুকছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ কর্মীদের অ্যাকাউন্টে।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে শাসকদলের কর্মীদের সাথে বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। বাঁশ, লাঠি নিয়ে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হুগলীর পান্ডুয়া৷ এদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শাসকদলের তরফে অভিযুক্ত ১৪ জন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এবিষয়ে পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার রাতে বিজেপির তরফে শাসকদলের কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে চলে ইট, পাটকেল।
এরপর বৃহস্পতিবার ফের শাসকদলের তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। সেই সময় ফের মিছিল লক্ষ্য করে বাঁশ লাঠি নিয়ে মিছিলের দিকে তেরে আসে বিজেপিকর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাইক। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ঘটনায় জখম হয়েছে দু’দলেরই বেশ কয়েকজন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এবিষয়ে হুগলির বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রেসিডেন্ট শেখ নাসিরুদ্দিন বলেন, “এই ঘটনায় বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের নেতারা আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করছেন। এখানে বিজেপি নেতা, কর্মীদের নামে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে গ্রামে পোস্টারিং করা হয়েছিল। গ্রামবাসীরা তার প্রতিবাদ জানায়। সেই কারণেই তৃণমূলের অসিত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়।” পাশাপাশি এদিন এবিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “বিজেপি দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত৷ অবলম্বে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবিতে আইনের দ্বারস্থ হবো।”