ভবানী গিরি: আর ৪০ কিলোমিটার দুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জোসেফ হাসপাতালে নয় ঝাড়গ্রাম শহরের বুকেই কোভিড হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলল ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বর্তমান সময়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় একটিও করোনা আক্রান্ত নেই । কিন্তু ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ঝাড়গ্রাম জেলায় নতুন করোনা হাসপাতাল চালু করতে চলেছে । স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় , ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হবে নতুন করোনা হাসপাতাল । ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়দের থাকার জন্য চারাতলা নতুন নাইট শেল্টারের বিল্ডিং তৈরি হয়ে রয়েছে , যেখানে এখন করোনার নমুনা সংগ্রহ হয় । স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় , নবনির্মিত নাইট শেল্টারের বিল্ডিংয়ে লিফ্ট না থাকার জন্য একতলা এবং দোতালতেই ৭৫ শয্যার করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে ।
ঝাড়গ্রাম জেলায় কোন বড় নার্সিংহোম বা করোনা হাসপাতাল তৈরি করার মতো পরিকাঠামো না থাকার জন্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সেন্ট জোসেফ হাসপাতলে ঝাড়গ্রাম জেলার করোনা রোগীদের পাঠানো হবে ।এতদিন করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের পশ্চিম মেদিনীপুরের সেন্ট জোসেফে পাঠানো হতো । কিন্তু করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার সাথে সাথেই ঝাড়গ্রাম জেলার করোনা আক্রান্তদের পাঠানো হতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বড়মা হাসপাতালে ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম জেলায় এখনো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি করোনা টেস্ট হয়েছে । তারমধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ১৯ জনের যার বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক । বর্তমান সময়ে করোনাই ঝাড়গ্রাম জেলায় একজনের ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঝাড়গ্রাম জেলার করোনা আক্রান্তদের পশ্চিম মেদিনীপুরের সেন্ট জোসেফ হাসপাতলে রাখার জন্য যে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল তা ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরের নাইট শেল্টারের বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর করে ৭৫ শয্যার করোনা হাসপাতাল চালু হচ্ছে ।