নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার রাত ১২টা থেকেই মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে খড়গপুর আর মেদিনীপুরের আকাশে। সকাল থেকেই তাই সংশয়ে ভরা ছিল উৎসাহী দের মন। গ্রহণ দেখা যাবে আদৌও? আশঙ্কা অনেকটাই সত্যি করে সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা ছিল খড়গপুর মেদিনীপুরের একাংশ।কোথাও কোথাও ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। তবে মনের মধ্যে ক্ষীন আশা ছিল, বেলা ১০.৪২ ঘন্টা থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে চলা এই গ্রহনের মধ্যে একবার না একবার দেখা মিলবেই গ্রহণ লাগা সূয্যি মামার। তবে খুব একটা আশাহত হননি উৎসাহীরা কারন
তবে গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণের পরই প্রাথমিক ভাবে ২০ মিনিটের মত মেঘ সরে যায়। তবে যেহেতু সেটা শুরুর মুখ তাই খুবই কম অংশ দেখা গিয়েছিল ফলে গ্রহণ পরিলক্ষিত হলেও সন্তুষ্ট হয়নি উৎসাহী চোখ। দুই শহরেরই বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রহণ দেখা গেলেও আকাশ মেঘে ঢেকে থাকায় অনেকেই সেই মহাজাগতিক দৃশ্যের টানা সাক্ষী থাকতে পারেননি উৎসাহীরা।
তবে এরই মধ্যে যেটা নজর কেড়েছিল তা’হল, মুখেে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে অনেকেই সূর্যগ্রহণ দেখতে ফাঁকার দিকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। মূলতঃ গ্রহনের ছবি সংগ্ৰহ করাই এঁদের লক্ষ্য ছিল। এঁদের মধ্যে মেদিনীপুর শহরের অনন্যা নন্দী এবং খড়গপুরের স্কুল পড়ুয়া সৌমি সাঁতরার মত উৎসাহীরা ছিল। সাড়ে তিনঘন্টা ধরেই এরা ওঁৎ পেতে ছিল পাক্কা শিকারীর মতই। অবশেষে দুজনেই সংগ্ৰহ করতে পেরেছে বেশ কয়েকটি দুর্লভ মুহুর্ত যা শেষ অবধি এসে পৌছেছে ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’য়ের হাতে।
গত বছর ২৬ ডিসেম্বর কলকাতায় আংশিক সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। সে বছরেও মেঘের জন্য তাল কেটেছিল দুই শহরের। এবছর তাই এই গ্রহণ দেখতে সবাই মুখিয়ে থাকলেও বেশিক্ষণ রোদ-মেঘের লুকোচুরি খেলায় অনেকেই সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পারেননি। তাই আফসোস রয়েই গেল। পরের গ্রহণের জন্য আরও দু’বছর চার মাস অপেক্ষা করতে হবে। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর আবারও গ্রহণ হবে। তবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত।