Homeএখন খবরসংঘর্ষ এড়ানোর কৌশলে দিলীপকে খোলা মাঠ ছেড়ে 'পালাল' পুলিশ,দাঁতন তৃণমূলের জন্য অশনি...

সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশলে দিলীপকে খোলা মাঠ ছেড়ে ‘পালাল’ পুলিশ,দাঁতন তৃণমূলের জন্য অশনি সঙ্কেত রেখে গেল জনতার ঢল

নিজস্ব সংবাদদাতা: যে দিলীপ ঘোষকে কলকাতা থেকে আসার পথে পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তের ডেবরার শ্রীরামপুরে আটকে দেয় পুলিশ সেই দিলীপ ঘোষ আর সায়ন্তন বসুরা যখন বিনা বাধায় খড়গপুর অতিক্রম করে দাঁতনের পথে রওনা দিলেন তখনই বোঝা গেছিল যে শনিবার খেলার শুরুতেই মাঠ ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সেই ওয়াক ওভারের চিত্র শনিবার গোটা দাঁতন জুড়েই। দাঁতনের থানা, কোর্ট, বাস স্ট্যান্ড মায় ১২ কিলোমিটার দুরে বিজেপির নিহত কর্মী পবন জানার কুশমি গ্রামের যে মাঠে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল সব খানেই পুলিশের চোখ ছিল নামানো, বন্ধুকের নলে যেন শ্যাওলা পড়া ভাব, নেতিয়ে যাওয়া কাঁদানে গ্যাসের সেল বয়ে যেন ক্লান্ত পুলিশ।

শনিবার যেন রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে দাঁতন থানার বড়বাবু থেকে ভিলেজ পুলিশের সেই উদ্ধত, চোখ রাঙানো ইমেজ। আর পুলিশের এই ভিজে বেড়াল মার্কা চেহারাটাকেই ধরে রাখতে মরিয়া ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খড়গপুর মহকুমার দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ। মাথা ঠান্ডা করে দাঁতন থানার ভেতরে বসে যিনি স্রেফ সময়টা পার করে দিতে চেয়েছেন। কারন তিনি জানতেন একটু এদিক থেকে ওদিক হয়ে গেলে যে আগুন দাঁতনে জ্বলে উঠতে পারে তাকে সামাল দেওয়ার জন্য প্রচুর রক্তপাতের প্রয়োজন হবে।

এদিন পুলিশ এতটাই নরম আর সহনীয় ছিল যে জনতার তাড়া খেয়ে মাঠ ছেড়ে পালিয়েছে, পুলিশ ভ্যানের ওপর অজস্র ইট পাথর পড়েছে কিন্ত পুলিশ রা কাড়েনি। এদিন আগা গোড়াই শোকসভায় অংশ নেওয়া জনতা থেকে নেতারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পুলিশের প্রতি। আজ পুলিশই ছিল বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ, তৃনমূল হয়ে গেছিল গৌন। তিনদিন আগে তৃনমূল কর্মীদের মারে নিহত বিজেপি পরিবারের তরুনকে যে তৃনমূল নয়, আদতে পুলিশই মেরেছে তাই বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেছেন,”পবন জানার মৃত্যুর পেছনে দায়ী পুলিশ আধিকারিক আর কর্মীদের নাম খাতায় লিখে রাখছি আমি।কথা দিচ্ছি কাউকে ছাড়া হবেনা।”

একই ভাবে এদিন সায়ন্তন বসু দাঁতন থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জনতাকে আরও ৬মাস সবুর করার অনুরোধ জানিয়েছেন। পুলিশ টুঁ শব্দ করেনি। সব মিলিয়ে শুরু থেকে শেষ অবধি জনতাকে নিজের মত চলতে দিয়ে বড় সড় দুর্যোগ পার করে দিয়েছে দাঁতনের। হিংসা ও রক্তপাত এড়ানোর কৌশলে আজ নিশ্চিত ভাবেই পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছে। যদিও আজকের এই জনস্রোত শাসকদল তৃণমূলের পক্ষে যথেষ্টই চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়ালো। দাঁতনে উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধি করেছে বিজেপি। শনিবারের জনতার মেজাজ বলে দিয়েছে সে শক্তি আরও বাড়ছে। শনিবার কাতারে কাতারে যে মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁর সিংহভাগই ছিল একেবারে মাটির জলকাদা লেপ্টে থাকা। যা এতদিন উল্টোদিকেই দেখা যেত।

RELATED ARTICLES

Most Popular