ওয়েব ডেস্ক : কথা ছিল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিনের কুশপুতুল পোড়ানো হবে, কিন্তু কে শি জিংপিন তা না চিনেই তার বদলে পোড়ানো হল উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কুশপুতুল। এভাবে শত্রু চিনতে ভুল করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হলেন আসানসোলের বিজেপি কর্মীরা।
গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দেশবাসী৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছে দেশবাসী। চারিদিকে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে চিনা ফোন, চিনা দ্রব্য। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই পথে নেমেছিলেন আসানসোলের বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু হয়ে গেল মস্ত বড়ো ভুল।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি কর্মীদের এই ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই বলছেন, শত্রু না চিনে এভাবে অন্য দেশের নেতাকে পোড়ালে নতুনভাবে ওই দেশের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।আবার অনেকের মত, শত্রু যখন চেনে না তখন প্রতিবাদ করে আর কি হবে? সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই সব কমেন্ট করেছেন নেটিজেনরা। ভিডিও ঘিরে শুরু হয়েছে ট্রল, মিম। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই স্রোতে গা ভাসাতে গিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন আসানসোলের বিজেপি কর্মীরা।
কান্ডটি ঘটিয়েছেন গণেশ মাণ্ডি নামে এক বিজেপি নেতা যিনি ভিডিয়োতে বলছেন, ‘আমরা চিনের বিরোধ করছি। লাদাখে যে ঘটনা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এই মিছিল করছি। চিনের যিনি প্রধানমন্ত্রী কিম জন, তাঁর কুশপুতুল আমরা দাহ করব।’ ভিডিয়োয় নিজেকে আসানসোল দক্ষিণ মণ্ডল ১-এর সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন গণেশ।
তবে দোষ যতই নিজের হোক, তা নিজের ঘাড়ে নেওয়া কখনই চলবে না!তাই এমন ভয়ঙ্কর ভুল এর দায় অন্যের ঘাড়ে চাপাতে নিজেরাই একে অপরকে দোষারোপ করছেন। কিন্তু যতই দোষারোপ করুক, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি কর্মীদের অপদার্থতা ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় দেখে ফেলেছেন কয়েক হাজার মানুষ। হাসির খোরাক হয়ে উঠল আসানসোলের বিজেপি কর্মীদের এই কর্মসূচি।