নিজস্ব সংবাদদাতা: শাশুড়ি ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, মরন হয়না তোমার? বলার পরের দিন মৃতদেহ। মিলল জামাইয়ের, মিলল শ্বশুরবাড়িতেই। বুধবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকার কামারখালি গ্রামে। বুধবারই মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত বছর তিরিশের জামাইয়ের নাম তারক দাস অধিকারী, বাড়ি গড়বেতাতে।
তারকের স্ত্রীর নাম সুমি। তাঁদের একটি বছর দুয়েকের শিশুকন্যা রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য ছিল, মাঝে মধ্যে দাম্পত্য কলহ প্রকট হয়ে উঠত। লকডাউনের মধ্যে সেই কলহ আরও প্রকট হয়ে উঠেছিল। এরপর লকডাউন শিথিল হতেই সুমিকে নিয়ে চন্দ্রকোনার বাপের বাড়িতে চলে আসে বেশ কয়েকদিন আগে।
তারক মঙ্গলবার স্ত্রী আর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চন্দ্রকোনার কামারখালি গ্রামে আসে। যা কিনা সুমি বা তার মা মেনে নিতে পারেনি।
সন্ধ্যা বেলায় স্ত্রী আর শাশুড়ি মিলে তারককে প্রচুর কথা শোনায় আর এই কথার মধ্যে নাকি একাধিকবার বলা হয় কেন তারকের মৃত্যু হয়না? বুধবার সকালে শোয়ার ঘরের বিছানা থেকেই উদ্ধার হয় তারকের সংজ্ঞাহীন দেহ। সাথে সাথেই তাকে চন্দ্রকোনা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়েই গড়বেতা থেকে ছুটে আসেন তারকের ভাই শম্ভু। শম্ভুর অভিযোগ তার বৌদি ও দাদার শাশুড়ি মিলে খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে দাদাকে। অন্যদিকে সুমি জানিয়েছেন, নিজে থেকেই বিষ খেয়েছেন তারক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।