Homeএখন খবরশেষকৃত্য চলার সময়েই পূর্ণিয়ার বাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সুশান্তের বৌদি, সুশান্ত...

শেষকৃত্য চলার সময়েই পূর্ণিয়ার বাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সুশান্তের বৌদি, সুশান্ত আর রিয়ার সম্পর্কে নতুন তথ্য সামনে আনলেন লেখিকা সুহরিতা

নিজস্ব সংবাদদাতা: মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল আবারও। সোমবার মুম্বাইয়ে সোমবার বিকালে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের শেষকৃত্য চলাকালীনই বিহারের পূর্ণিয়ায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেতার বৌদি। সুশান্তরের মৃত্যুর খবর আসার পরই শোক আছড়ে পড়েছিল পূর্ণিয়ার বাড়িতে। সুশান্তের বাবা তো বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন তাঁরই সঙ্গে মর্মান্তিক আঘাতে হাহাকার করে উঠেছিলেন সুশান্তের খুড়তুতো বৌদি সুধা দেবী। মা মারা যাওয়ার পর ওই বৌদির কাছেই তার যাবতীয় আবদার ছিল বলেই জানা গেছে। সুশান্তের আত্মহত্যার খবর আসার পরই প্রথমে কান্নাকাটি করেছিলেন সুধা দেবী। তারপর চুপচাপ হয়ে যান। এরপরই আসে দ্বিতীয় দুঃসংবাদ সুশান্তের পরিবারে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর সুশান্তের সেই তুতো দাদার স্ত্রী সুধা দেবীর মৃত্যু হয়েছে সোমবার।

সুশান্তের আদি বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়, সেখানেই থাকতেন তিনি।মুম্বইতে সুশান্তের শেষকৃত্যের সময় নাকি মৃত্যু হয়েছে সুধা দেবীর। প্রিয় দেওরের অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। রবিবার সুশান্তের আত্মহত্যার খবর পৌঁছানোর পর প্রাথমিক কান্নাকাটির পর সেই যে চুপ হয়ে যান আর কথাই বলেননি কারও সাথে। রবিবার, সোমবার কিছুই খান নি তিনি। তারপরই খবর আসে সুধা দেবী মারা গেছেন বিকাল ৫টার কিছু পরে যখন সুশান্তের শেষকৃত্য শুরু হয়েছে।

এদিকে সুশান্তের পরিনতিকে পারভিন ববির ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি”, সুশান্ত সিং রাজপুতের মানসিক ঘটনার অবনতি নিয়ে তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে একথাই বলেছিলেন পরিচালক মহেশ ভাট? সেকারণেই সুশান্তের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন রিয়াকে? সুশান্তের মৃত্যুর পর উঠে আসছে এমনই তথ্য। এবিষয়ে মুখ খুললেন লেখিকা সুহরিতা সেনগুপ্ত।

‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে সুহরিতা  জানিয়েছেন, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল মহেশ ভাটের অফিসে। সুশান্ত সেখানে গিয়েছিলেন ‘সড়ক ২’-তে কাজ করার বিষয়ে কথা বলতে। একটি বিষয় নিয়ে সুশান্তের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন মহেশ ভাট। সুশান্তের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার মধ্যেই তাঁর মনের গভীরে এই কঠিন অসুস্থতার দিকটি খেয়াল করেছিলেন ‘ভাট সাব’। সুহিত্রা সেনগুপ্তের কথায় পারভিন ববির ঘটনাটা মহেশভাট খুব ভালো করে জানেন, তাই তিনি সুশান্তের বিষয়টা বুঝে যান। তিনি এটাও জানতেন চিকিৎসা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

সুহরিতা  জানিয়েছেন, ”সুশান্ত নিয়মিত ওষুধ খাবেন, এটার জন্য রিয়া চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ও খেত না। গতবছর ও সকলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। তবুও রিয়া ওর সঙ্গে ছিল। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে সুশান্ত কণ্ঠস্বর শুনতে শুরু করেছিল। ও ভাবত, ওকে কেউ মেরে ফেলতে চাইছে। একদিন ওর বাড়িতে অনুরাগ কাশ্যপের সিনেমা চলছিল। ওর সঙ্গে রিয়াও ছিল। ও রিয়াকে বলল, আমি অনুরাগ কাশ্যপের ছবির প্রস্তাব ফিরিয়েছি। ও আমাকে মেরে ফেলবে। তারপর থেকেই রিয়া সুশান্তের সঙ্গে থাকতে ভয় পেত।”

সুহরিতা সেনগুপ্ত আরও জানিয়েছেন, ”রিয়ার কিছু করার ছিল না। তাই ও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে। মহেশ ভাট রিয়াকে বলেছিলেন, সুশান্তের সঙ্গে থাকলে ও নিজের মানসিক সুস্থতা হারিয়ে ফেলবে। রিয়া অপেক্ষা করছিল, যে সুশান্তের দিদি মুম্বইয়ে এসে ভাইয়ের দেখাশোনা করুক। সুশান্তের দিদিরাও ওকে অনেক বুঝিয়েছিলেন। ওষুধ খেতে বলতেন, কিন্তু ও কারোর কথা শুনতো না। শেষ মাসে সুশান্ত নিজের মানসিক কারাগারেই বন্দি হয়ে গিয়েছিল।”
ইতিমধ্যেই অবশ্য তবে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের গৃহমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত সুইসাইড করেছেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে। অনেক মিডিয়া রিপোর্ট বলছে পেশাদার জীবনে রেষারেষির কারণেই নাকি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে চলে যান সুশান্ত,সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ,পূর্ন তদন্ত হবে।’

RELATED ARTICLES

Most Popular