Homeএখন খবরসামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কী? এবার জানাবে আইআইটি খড়গপুর উদ্ভাবিত যন্ত্র

সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কী? এবার জানাবে আইআইটি খড়গপুর উদ্ভাবিত যন্ত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী এক দশক নাকি তারও বেশি সময় আমাদের কোভিড -১৯ বা করোনার সঙ্গে লড়াই করে যেতে হবে জানা নেই তবে বারবার হাত ধোয়ার মতই সামাজিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনে চলতে হবে বহুদিন। শপিং মল থেকে হাট বাজার, বিয়ে বাড়ি থেকে অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ বাড়ি, বাস, ট্রাম, ট্রেন,মেট্রো, সিনেমা, থিয়েটার, মাল্টি কমপ্লেক্স সর্বত্রই। সব চালু হবে, জীবন স্বাভাবিক হবে শুধু থেকে যাবে হাত ধোয়া, মাস্ক আর সোশ্যাল ডিস্টেন্স। কিন্তু এত জায়গা জুড়ে কে পাহারায় থাকবে? কে দেখবে সোশ্যাল ডিস্টেন্স মানা হচ্ছে কী না? অফিসের বড়বাবু সব কাজ ছেড়ে কী সেকশনে সেকশনে ঘুরে বেড়াবেন? ফিতে দিয়ে মেপে দেখবেন চৌধুরী আর মন্ডলের মাঝে ঠিক ‘দো গজ দুরি’ বজায় আছে কী না? তাছাড়া সবাইতো জানেনা, বুঝতে পারবেননা তিনি ঠিক ঠাক দূরত্বে আছেন কী না?

কুছ পারওয়া নেই এবার সেটা দেখে নেবে যন্ত্রই। নো-স্মোকিং জোনে যেমন সিগারেট কিংবা বিড়ি অথবা অন্যকোনও ধোঁয়া উড়লেই ট্যা ট্যা করে আ্যলার্ম বেজে ওঠে ঠিক তেমনই আ্যলার্ম বেজে উঠবে আর ‘তফাৎ যাও তফাৎ যাও’ বলে আপনি তখন নিজেই পিছু হটবেন। লক-ডাউন পর্বে ঘরে বসেই আইআইটি খড়গপুরের গবেষকদের কোভিড-১৯ যুদ্ধে এটাই হল সাম্প্রতিকতম উদ্ভাবন। সৌজন্যে ‘দ্য সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর রোবোটিক রিসার্চ। অধ্যাপক দেবাশিস চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক আদিত্য বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল যাদের বলা হচ্ছে ‘আটোনোমাস গ্রাউন্ড ভেইকলস রিসার্চ গ্রুপ’ বা এজিভি কাজটি করেছে যাঁর মধ্যে পড়ুয়ারাও রয়েছেন।

কিভাবে এই যন্ত্রটি কাজ করবে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই টিমের এক সদস্য জানিয়েছেন, “পদ্ধতিটিকে আমরা বলছি সার্ভার ফিজিক্যাল সিস্টেম। নজরদারি ক্যামেরা যা কিনা অনেকটাই দেখতে সিসিটিভি ক্যামেরার মত সেই ক্যামেরার সাথে একটি কম্পিউটার যুক্ত থাকছে। ঠিক কতটা পারস্পরিক দূরত্ব থাকা উচিৎ সেই গাইড লাইন দিচ্ছে সরকার। সেই মত ক্যামেরায় থাকা নজরদারি চোখ দেখে নেবে কোথাও তার কম হচ্ছে কী না। হলেই ক্যামেরা সেন্সর তার বার্তা পাঠিয়ে দেবে কম্পিউটারে আর কম্পিউটার   আ্যলার্ম বাজিয়ে জানিয়ে দেবে।

অত্যন্ত কম দামের মধ্যে এই যন্ত্রটি বানানোর চেষ্টা হচ্ছে যাতে শুধু সরকারি বেসরকারি অফিস, আদালত, কল কারখানাই নয় তারও বাইরে গিয়ে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও এর ব্যবহার করা যায়। চাইলে কমিউনিটি হল, মন্ডপেও ব্যবহার করা যায়।প্রাথমিক পর্যায়ে সফলতার সঙ্গেই উৎরে কাজে পরীক্ষা পর্ব। ঠিকঠাকই সাড়া দিয়েছে তবে এখন বাকি রয়েছে বিষয়টিকে খাঁচাবন্দি করে একটা ঠিকঠাক আদল দেওয়া। সেটা এখুনি সম্ভব হয়ে উঠছেনা লকডাউনের কারনে, প্রথমত আইআইটির আ্যকাডেমিক ক্যাম্পাস পুরোপুরি বন্ধ থাকায় এবং বাজার এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় এই আ্যসেম্বলের কাজটি বাকি রয়েছে।

আইআইটির ডিরেক্টর অধ্যাপক ভি কে তেওয়ারী বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য সমাজের প্রান্তিক মানুষের কাছে উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। আমরা কোভিড লড়াইয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় যুদ্ধের একটি অঙ্গ হিসাবে কাজ করে চলেছি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমাদের ছাত্র ও শিক্ষক সমাজ যে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন তা আরও একবার সমৃদ্ধ হল এই উদ্ভাবনে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular