নিজস্ব সংবাদদাতা: কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গুলোতে গরু গাধার মত মানুষকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি।কোয়ারেন্টাইন সেন্টার কেমন হওয়া উচিৎ তার নমুনা হিসাবে গ্রামীন খড়্গপুরের কলাইকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় একটি মডেল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করেছে বিজেপির পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। শুক্রবার সেই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করলেন, এখানে থাকা শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্ৰহ করছেনা স্বাস্থ্যদপ্তর।
খড়গপুর গ্রামীণ থানার অর্জুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের খেমাশুলি এলাকায় একটি স্কুলের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে আসেন। সাংসদ দিলীপ ঘোষের আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের মধ্যেও সাংসদকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়। এইদিন তিনি পৌঁছানোর পর ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে হেঁটে স্কুলের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। সমস্ত বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নেন। তারপর এই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরে মেদিনীপুর শহরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা দেখাতে চাইছি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র কেমন হওয়া উচিত। যে মানুষগুলো অনেক কষ্ট, দুঃখ সহন করে রাজ্যে ফিরে এসেছেন তাঁরা যেন নিজেদের অপাংক্তেয় মনে না করেন তার জন্য আমরা নিজেদের দায়িত্বে পরিচালনা করছি।” তবে এই কেন্দ্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের এখনও পর্যন্ত লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি বলে তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন ” এই কেন্দ্রে রাখা মানুষগুলির নমুনা নেয়নি। টেস্ট করেনি। আলাদা রাখা হয়েছে মাত্র। এই অব্যবস্থা ও অমানবিকতার পরিবর্তন হওয়া দরকার।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, এই রাজ্যে প্রথম থেকে তথ্য চেপে রাখার চেষ্টা করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি গড়িয়ার শ্মশানে ১৪টি মৃতদেহ সৎকার করার চেষ্টা নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, এই ১৪টি মৃতদেহ করোনা আক্রান্ত রোগীদের। পরিবারের সদস্যদের কিছু না জানিয়ে সৎকার করার চেষ্টা হচ্ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ওই মৃতদেহের প্রসঙ্গ নিয়ে আর বেশি ইস্যু না করার জন্য রাজ্যপালকে রাজ্যসরকার বারবার চাপ দিচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, এরা প্রথমে ঘটনা চেপে দিতে চায় তারপর ব্যর্থ হলে হুমকি দেয়। আমি একটা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পর্দা ফাঁস করায় আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও হুমকি দিয়ে চলেছে এই সরকার।