Homeএখন খবরসিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বকেয়া পরীক্ষা বাতিলের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে অভিভাবকরা

সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বকেয়া পরীক্ষা বাতিলের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে অভিভাবকরা

ওয়েব ডেস্ক : করোনা আতঙ্কের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। দীর্ঘ ২ মাস লকডাউন কাটানোর পর গত ১৮ মে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, আগামী ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর প্রায় ১৫,০০০ কেন্দ্রে বকেয়া পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু এবার সেখানে বাঁধ সাধলেন অভিভাবকেরা। পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে যদি কোনোভাবে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা, সেই আতঙ্কে ছেলেমেয়েদের সুরক্ষার জন্য দশমও দ্বাদশ শ্রেনীর অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিলের উদ্দেশ্যে আইনজীবী ঋষি মালহোত্রার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন চার অবিভাবক। তাঁদের বক্তব্য, এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যপরীক্ষা দিতে বেরোলে সংক্রমণের পড়তে পারে পরিক্ষার্থীরা৷

অবিভাবকদের আবেদন, এই মূহুর্তে দেশের যা পরিস্থিতি সেখানে যে কোনো ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে। সেখানে একসাথে এত জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জুলাই মাসে দেশে শীর্ষে পৌঁছাবে সংক্রমণ, অথচ জুলাই মাসেই নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা। তাদের অনুরোধ, এই মূহুর্তে আর কোনও পরীক্ষা না নিয়ে দশম ও দ্বাদশ শ্রেনীর যে যে পরীক্ষাগুলি হয়ে গিয়েছে সেগুলির প্রাপ্ত নম্বর ও বকেয়া পরীক্ষাগুলিতে পরীক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে নম্বর দিয়ে সিবিএসই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হোক।

অন্যদিকে, ওই চার অবিভাবক তাদের আবেদনের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টকে জানান, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এতজন ছাত্রছাত্রীর জন্য সঠিক সুরক্ষা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং সেই সাথে ১৫,০০০ কেন্দ্রের পরীক্ষা নেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এতে যদি কোনোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় সামান্য ফাঁক থাকে তবে খুব সংক্রমণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে৷

একেই করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। তারওপর এইমস এর তথ্য অনু্যায়ী, জুলাইতে দেশে রেকর্ড সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মূহুর্তে দেশের অর্ধেক স্কুল কলেজগুলি পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে বদলে ফেলা হয়েছে ফলে সেখানে জীনাণুমুক্ত করা হলেও আদেও কতটা সুরক্ষিত থাকবে স্কুলগুলি এই বিষয়ে চিন্তিত অবিভাবকেরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular