Homeএখন খবরকরোনার ফাঁদে ৩ কুখ্যাত খুনি, পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে ওড়িশা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায়...

করোনার ফাঁদে ৩ কুখ্যাত খুনি, পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে ওড়িশা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় প্রবেশের মুখে সোনাকনিয়ায় গ্রেপ্তার করল মুর্শিদাবাদ পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা এমন করেও মারে? ঠিক একবছর আগেই মুর্শিদাবাদে তিন তৃণমূল সমর্থককে খুন করে গোয়া পালিয়ে গেছিল তিন কুখ্যাত খুনি। বাংলার পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজেও টিকির সন্ধান পায়নি তাদের। শেষ অবধি করোনার ফাঁদেই ধরা পড়ে গেল তারা। লকডাউনে কাজ কর্ম নেই তাই গোয়া থেকে ফিরছিল তারা। পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে ভাড়া করা একটি বাসে চড়ে বসেছিল তারা। উদ্দেশ্য ছিল বাংলার ভেতরে প্রবেশ করে কোনও একটি জায়গায় নেমে গা ঢাকা দেওয়া। কিন্তু তার আগেই খবর চলে গেছিল মুর্শিদাবাদ পুলিশের কাছে। খবর পেয়েই ডোমকল থানার পুলিশ রওনা দেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার ওড়িশা সীমান্তে সোনাকনিয়ার উদ্দেশ্যে।

খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশকেও। এরপরই দুই জেলার পুলিশের তৎপরতায় ওই বাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৩ আসামীকে। তিন অভিযুক্ত হল শহিদ মণ্ডল, হাসান আলি খান ও সেলিম আলি। সোমবারই পুলিশ এদের নিয়ে মুর্শিদাবাদ নিয়ে চলে যায়। মঙ্গলবারই এদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গত বছর ১৫ই জুনের ওই ঘটনায় ৪জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও এই তিনজন পলাতক ছিল।

উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের ঠিক পরেই ডোমকল থানার কুচিয়ামোড় এলাকায় প্রথমে খুন হয়েছিলেন এলাকারই পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূল নেতা আলতাব শেখ খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ সেই খুনের আসামীরা জামিন পেয়েই ১৫ ই জুন হামলা চালায় ফের। খুন হন বছর ১৮ র সোহেল রানা শেখ তৃণমূল নেতা আলতাব শেখেরই ছেলে। এছাড়া আলতাব শেখের ভাই খাইরুদ্দিন মণ্ডল ও এক প্রতিবেশী দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন।

মৃতদের পরিবারের অভিযোগ ছিল এই খুুনের পেছনে রয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। তৃণমূল সাংসদ আবু তাহেরের অভিযোগ, আলতাব শেখ এবং তাঁর পরিবার কয়েকদিন আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন, সেই কারণেই তাঁদের আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। যদিও বিরোধী পক্ষ এই খুনের ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য বলে পাল্টা দাবি করেছিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular