Homeএখন খবরসরকারের বিধি মেনে শ্যুটিং করা অসম্ভব! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা ' অবাস্তব' বলে সরকারকে...

সরকারের বিধি মেনে শ্যুটিং করা অসম্ভব! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা ‘ অবাস্তব’ বলে সরকারকে চিঠি দিল ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন

ওয়েব ডেস্ক : কেন্দ্রের আনলক ১ জেরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশ। এ পর্যায়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধের মধ্যে দিয়ে নানা ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ফলে বিধিনিষেধ মেনে করা যাবে ফিল্ম ও টেলিভিশনের শ্যুটিং। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ফিল্ম ও টেলিভিশনের শ্যুটিং শুরু করতে গেলে বেশ কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে গোটা ইউনিটকে। শ্যুটিং সংক্রান্ত সেই নির্দেশিকা কয়েকদিন আগেই সামনে এনেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। তবে সরকারের দেওয়া এই নির্দেশিকায় একেবারেই খুশি নন ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন। সে অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ পরিবর্তনের জন্য চিঠিও লেখা হয়েছে।

গত রবিবার মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া ১৬ পাতা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-

১. মূল চরিত্র ছাড়া ৩৩ % কলাকুশলী নিয়েই কাজ করা যাবে। সেই সাথে প্রত্যেকের ফোনে থাকতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ। রাখতে হবে নিজের পরিচয়পত্র।

২. ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক কোনও শিল্পী বা টেকনিশিয়ান সেটে থাকতে পারবেন না। রিয়ালিটি শো এর দর্শক আসন সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখতে হবে। শ্যুটিং সেটে বাইরের কেউ হাজির থাকতে পারবে না।

৩. সেটে প্রবেশের সময় নিয়মিত প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। সেটের মধ্যে ২৪ ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক, নার্স এবং প্রয়োজনীয় জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা মজুত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. সেটের মধ্যে একে অপরকে অভিবাদন জানাতে কোনওরকম আলিঙ্গন করা বা হ্যান্ডশেক করা যাবে না।

৫. অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের শুটিং সেটে প্রবেশ করানো যাবে না।

৬. সেটে নিজের নিজের আলাদা মেকাপ কিট ব্যবহার করতে হবে। এমনকি একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর একাধিক স্টাফ থাকতে পারবে না। অর্থাৎ একজন শিল্পী মেকাপ, হেয়ার ও ড্রেসের দায়িত্ব একজনকেই নিতে হবে।

৭. শুধুমাত্র চারদেওয়ালে ঘেরা জায়গাতেই শ্যুটিং করা যাবে। ক্রিউ মেম্বারদের কমপক্ষে ৬ ফুটের দূরত্ব মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

৮.শ্যুটিংয়ে কোনওরকম জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে দৃশ্য, মারপিটের দৃশ্য দেখানো যাবে না। বাদ দিতে হবে অন্তরঙ্গ মূহুর্ত, থাকতে পারবে না চুম্বনের দৃশ্য।

৯. শ্যুটিং এর শুরু তে ও শেষে নিয়মিত সেট এবং শ্যুটিংয়ের সরঞ্জাম জীবনানুমুক্ত করতে হবে। শুটিং ফ্লোরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।

১০. কাস্টিং ডিরেক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যতটা সম্ভব অনলাইনেই কাস্টিং পর্ব মিটিয়ে নিতে। পাশাপাশি একটি প্রজেক্টে পরিবারের একাধিক অভিনেতাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য উত্সাহ দেওয়া হয়েছে যাতে পরিবারের মধ্যেই কনট্যাক্ট সীমাবদ্ধ থাকে।

মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া এই নির্দেশিকা রীতিমতো ‘অবাস্তব’ বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা জানিয়েছেন, তাদের বেশীরভাগ শিল্পী ও টেকনিশিয়ান ই ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে। ফলে তাদের আচমকা বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব না বরং নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কম সময়ের মধ্যে কাজ করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি তারা আরও জানিয়েছেন, প্রত্যেক অভিনেতার পরিবারের লোকজনই যে অভিনয় করতে পারেন এমনটা নয়। সেক্ষেত্রে যদি কন্ট্যাক্ট সীমাবদ্ধ রাখার জন্য অভিনেতাদের পরিবারের লোকেদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে যারা সত্যিকারের শিল্পী তাদের বঞ্চিত করা হবে। ফলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে একেবারেই নারাজ ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি। তার মতে, সরকারের নির্দেশিকার বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা দরকার।

RELATED ARTICLES

Most Popular