ওয়েব ডেস্ক : বাংলায় করনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে এবার এক নয়া ছাড় ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার। এবার আর শুধুমাত্র সরকারী উদ্যোগে নয় বরং ব্যক্তিগত ভাবেও করোনা পরীক্ষার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। ফলে এবার থেকে করোনার উপসর্গ নেই সেসব ব্যক্তিরাও নিজের গাঁটের কড়ি খরচা করে আইসিএমআর অনুমোদিত পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে বিনা প্রেসক্রিপশনে পরীক্ষা করানো যাবে না। প্রয়োজন হবে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন।
গোটা বিশ্বে এই মূহুর্তে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা উপসর্গহীন। ফলে নিজেদের সুস্থ মনে করে সহজেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এধার ওধার। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে সংক্রমণের জেরে তাদের বিশেষ ক্ষতি না হলেও উপসর্গহীন সেই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হচ্ছে বহু মানুষ। এর জেরে দিন দিন বাড়ছে দেশ তথা বিশ্বে সংক্রমণের হার। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যাও। ফলে এতদিন রাজ্যের করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারী চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুমতি ছাড়া অন্যত্র করা যেত না। কিন্তু এবার থেকে বেসরকারী ল্যাবরেটরিতে সহজেই পরীক্ষা করা যাবে। খরচা হবে ২,৮০০ টাকা যা কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া ৪,৫০০ টাকা থেকে অনেকটাই কম। রিপোর্টও পাওয়া যাবে মাত্র এক দিনে।
বর্তমানে এ রাজ্যের নিউ টাউন ও এলগিন রোডের শাখায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থাকতে হবে। পাশাপাশি আইসিএমআর অনুমোদিত আজ্যের অন্যান্য পরীক্ষাগারগুলিতেও অতি দ্রুত করোনা পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এবিষয়ে এক বেসরকারি পরীক্ষাগারের কর্ণধার জানিয়েছেন, “সরকারি পরিকাঠামোয় পরীক্ষা করতে অনেক সময় লাগছে। সেক্ষেত্রে আমরা ১ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে পারব। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।”
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রাজ্যবাসী। তবে প্রশ্ন উঠছে যদি করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ছাড়ই দেবে রাজ্য সরকার তবে রাজ্যের তরফে এই সিদ্ধান্ত নিতে এতটা দেরি কেন করা হল? যদি আগেই এই অনুমতি দেওয়া হতো তবে অনেকটাই এড়ানো যেত সংক্রমণ, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি বেসরকারি পরীক্ষাগারে পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকার কথা বলা হচ্ছে তা অনেকেরই সাধ্যের বাইরে হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।