Homeএখন খবরদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়াচ্ছে কী করোনা ? নজরদারির শুরু করল আইসিএমআর, ঝাড়গ্রাম...

দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়াচ্ছে কী করোনা ? নজরদারির শুরু করল আইসিএমআর, ঝাড়গ্রাম জেলার ব্লকে ব্লকে নুমনা সংগ্ৰহ করা হল

ভবানী গিরি: দীর্ঘস্থায়ী হতে চলেছে করোনা যুদ্ধ। আগামী কয়েক দশক হয়ত থেকে যেতে পারে করোনা ভাইরাস। বর্তমানে যা কয়েকজনের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে আগামী দিনে তা মিলতে পারে অধিকাংশ জনের মধ্যে। ২০২০ শেষ পর্যায়ে ভরতের ৫০% মানুষই করোনা আক্রান্ত হবেন এমন সাবধান বানীও এসেছে। গোষ্ঠী সংক্রমন, গন সংক্রমন হয়ে ওঠারও সম্ভবনা রয়েছে তাই বর্তমান লড়াইয়ের সাথে সাথে আগামীদিনের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে দেশ ও দেশবাসীকে। আর সেই যুদ্ধের গতি প্রকৃতি নির্ভর করবে কোভিড-১৯ ভাইরাসটির আক্রমনের কৌশলের ওপরই। কী সেই কৌশল তা জানতেই এবার মাঠে নেমে পড়ল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর।

দেশের অন্য রাজ্যগুলির মতই বুধবার থেকে পশ্চিমবাংলার ৯টি জেলায় কাজ শুরু করল আইসিএমআর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু এবং স্থানীয় জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বুধবার বাঁকুড়ার পর বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার ১০টি ব্লকের মোট ৪০০জনের রক্তের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছে যা চলে যাবে আইসিএমআরের পুনের ল্যাবে।

আইসিএমআরের নিজস্ব পরিভাষায় এই প্রক্রিয়ার নাম সেরো সার্ভিল্যান্স। পরিস্থিতির উপর সঠিক নজরদারি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাই করার জন্য এই প্রক্রিয়া। এদিন আইসিএমআরের সদস্য ও ব্লক স্বাস্থ্যকর্মীরা গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের তেঁতুলিয়া গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে একটি সমীক্ষা করার পর তাঁদের পদ্ধতি অনুসারে পরিবারের সম্ভাব্য সেই ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছেন যাঁর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। সাধারন ভাবে ১৮বছরের উর্দ্ধের মহিলা বা পুরুষকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এরপর তেঁতুলিয়া গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে তাঁদের রক্ত সংগ্ৰহ করা হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মাহাত এবং আইসিএমআরের পক্ষে সৌপ্তিক জানা।

সৌপ্তিক বলেন, “এটি প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। যেখানে আমরা কোভিড-১৯য়ের গতি প্রকৃতি ও মানুষের শরীরে আ্যন্টিবডি বা প্রতিরোধ গড়ে ওঠার চরিত্র বোঝার চেষ্টা করব। এই পর্বে গোষ্ঠী এলাকায় গোষ্ঠি সংক্রমনের প্রবনতা ইত্যাদি বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। এখন কাজটি হচ্ছে এখনো সংক্রমন হয়নি এমন এলাকায়। পরবর্তীতে কাজ হবে সংক্রমিত হয়েছে এমন এলাকায়। এই ভাবে কয়েকটি পর্যায়ে কাজের পরই আমরা কোভিড এবং আমাদের দেশের জনগোষ্ঠীর চরিত্র ইত্যাদি বুঝতে পারব যা আমাদের করোনা যুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী লড়াই করতে সুবিধা করে দেবে।”

উল্লেখ্য এই পর্বে ব্লকের কোন গ্রামকে বেছে নেওয়া হবে তা ওই এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং ইতিহাস ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করার পরই আইসিএমআর ঠিক করে নেয়। এরপর গ্রামের চারটি প্রান্ত থেকে বাড়ি গুলিকে বেছে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর সম্ভাব্য নমুনা সংগ্রহ করা উচিৎ এটা ঠিক করা হয়। এই পর্বে রাজ্যের বাঁকুড়া,ঝাড়গ্রাম,পূর্ব মেদিনীপুর, নন্দীগ্রাম, বিষ্ণুপুর,কলকাতা,আলিপুর দুয়ার, দক্ষিন ২৪পরগনা, ডায়মন্ড হারবার এই ৯টি স্বাস্থ্য জেলা থেকে ২৪০০জনের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular