Homeএখন খবরহাওড়ার শ্যামপুর থেকে উদ্ধার ঘাটালের শিশুকন্যা, বিক্রি করা হয়েছিল কী না খতিয়ে...

হাওড়ার শ্যামপুর থেকে উদ্ধার ঘাটালের শিশুকন্যা, বিক্রি করা হয়েছিল কী না খতিয়ে দেখছে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার রাতে হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানা এলাকা থেকে ঘাটাল শহরের ১৬নম্বর ওয়ার্ডের এক শিশুকন্যাকে উদ্ধার করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ। মাত্র ২মাস ১৫দিন বয়সের ওই শিশুকন্যাকে অভাবের তাড়নায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল এমনই অভিযোগ উঠেছে ঘাটাল থানার কোন্নগর এলাকার ওই শিশুর কিছু প্রতিবেশীদের কাছ থেকে যদিও সত্যি শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছিল কী না খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গেছে ঘাটালের বাসিন্দা বাপন ধাড়া ও তার স্ত্রী তাপসী। এঁদের পূর্বেই দুটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। বাপন দিনমজুর আর তাপসী গৃহ পরিচারিকার কাজ করে। লকডাউনের বাজারে কাজ কর্ম তো ছিলনা তারমধ্যেই তাপসী ওই শিশুকন্যার জন্ম দেন। এই শিশুকন্যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়। এরপর মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি দাসপুর থানার সোনাখালি গ্রামে চলে যান তাপসী। সোনাখালি গ্রামের এক মহিলা যাকে তাপসী দিদি বলে ডাকতেন সেই মহিলার বিয়ে হয়েছে হাওড়ার শ্যামপুর থানার দক্ষিন দুর্গাপুর গ্রামে। সেই দক্ষিন দুর্গাপুর গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পত্তিকে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। দম্পত্তি ৩হাজার টাকা দেন তাপসীকে।

খবর কানাকানি হতেই তৎপর হয়ে ওঠেন ঘাটাল চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁরা দ্বারস্থ হন পুলিশের। ঘাটাল পুলিশের একটি দল চাইল্ড লাইনের এক সদস্যাকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালায় দক্ষিন দুর্গাপুরে। উদ্ধার হয় শিশুকন্যাটি। যাঁর বাড়ি থেকে শিশুটি উদ্ধার হয় সেই শ্যামলী দাস জানিয়েছেন, “এখানে কোনও কেনা বেচা হয়নি। আমি শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেই কাছে রেখেছিলাম। আর প্রসবের পর মায়ের শারীরিক অবস্থা দেখে ভাল মন্দ খাওয়ার জন্য ৩হাজার টাকা দিয়েছিলাম।”
বাপন ধাড়াও জানিয়েছেন, “আমরা মেয়েকে বিক্রি করিনি, কিছুদিন মেয়েকে ওনার কাছে রাখা হয়েছিল, মায়ের শরীর খারাপ বলেই। তবে সেটা যে উচিৎ হয়নি তা বুঝতে পারছি। ক্ষমা প্রার্থী আমরা।”

ঘাটাল পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবাংশু ভৌমিক জানিয়েছেন, “শিশুকন্যা সুস্থ এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের তত্বাবধানে রয়েছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখছি।” অন্যদিকে ঘাটাল চাইল্ড লাইনের অধিকর্তা বিশ্বনাথ সামন্ত জানিয়েছেন,” বাবা মা যদি নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শিশুকে ফিরিয়ে নিতে চায় তবে পেতে পারে নচেৎ রাজ্যের শিশুকল্যান দপ্তরের হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হবে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular