Homeএখন খবরআমফান' এর স্মৃতি উসকে এবার আরব সাগরে তৈরী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, কলকাতার অভিজ্ঞতায়...

আমফান’ এর স্মৃতি উসকে এবার আরব সাগরে তৈরী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, কলকাতার অভিজ্ঞতায় ত্রস্ত করোনা বিদ্ধ মুম্বাই

ওয়েব ডেস্ক : ১০ দিন আগেই কলকাতা তথা গোটা পশ্চিমবঙ্গে ভয়ঙ্কর তান্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। তছনছ করে দিয়েছে কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনায়। সে ঘটনা এখনও দগদগে রয়েছে বঙ্গবাসীর মনে। এরই মধ্যে ফের এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলছে বানিজ্য নগরীর বুকে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, একটি ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের দিকে ধেয়ে আসছে। যা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে আগামী ৩ রা জুন আছড়ে পড়তে চলেছে উত্তর মহারাষ্ট্র বা গুজরাট উপকূলে। এর গতিবেগ ঘন্টায় ১০০-১১০ কিমি-র বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব সাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত শক্তিশালী হচ্ছে। সেটি গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে দুই রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় সাম্প্রতিক অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডব থেকে শিক্ষা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আগাম প্রস্তুতিও। ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যের মৎস্যজীবীদের আগামী ৫ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

মৌসম ভবনের সাইক্লোন বিভাগের অধিকর্তা সুনীতা দেবী রবিবার জানিয়েছেন, আরব সাগর ও লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তার পর আরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি ‘সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর উত্তরের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ৩ জুন সেটি আছড়ে পড়তে পারে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের উপকূলে।’’

একদিকে করনার তান্ডবে ক্রমশই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মহারাষ্ট্র। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত সেখানেই। এর মধ্যে এমন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে তাদের পাঠাতে হতে পারে রিলিফ ক্যাম্পে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।বর্তমানে একই সাথে দুটি বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে মায়ানগরী। ফলে মুম্বাইয়ের বর্তমান করনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হওয়াই এখন মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

RELATED ARTICLES

Most Popular