নিজস্ব সংবাদদাতা: দমবন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেল খড়গপুর মেদিনীপুর সহ সারা দক্ষিনবঙ্গ। ২১তারিখ দুপুরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আমফান। তারপর দিনভর চলেছিল তার ঝাঁপান। সেদিনের পরের দিনও ঠান্ডা ছিল আবহওয়া কিন্তু নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করে বৃহস্পতিবার থেকে।তারপর টানা বুধবার বিকাল অবধি গরমে আর অর্দ্রতায় প্রান ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল খড়গপুর আর মেদিনীপুর সহ প্রায় পুরো দক্ষিণবঙ্গেরই। অবশেষে বুধবার বিকেল, ঘন কালো মেঘে এদিন ঢেকে যায় দুই শহরের আকাশ। বইতে শুরু করে ঝড়ো বাতাস সঙ্গে বিদ্যুৎতের ঝলকানি। আর তারপরই ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি।
অবশ্য আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই। আসছে ঝড় বৃষ্টি। সেই মতই বুধবার সন্ধ্যা নামতেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে দেয়। ঝড়ের গতিবেগ অবশ্যই উমফানের মতো তীব্র ছিল না। কিন্তু খুব কমও ছিল না। ঝড়ের সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় বজ্র বিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টি। চারদিকে সাদা হয়ে বৃষ্টি হতে থাকে। আর তার সমানে চলতে থাকে ঝড়। খড়গপুর, মেদিনীপুর ছাড়াও বেলদা, নারায়নগড়, গড়বেতা, ঝাড়গ্রাম আর অন্য দিকে দুই চব্বিশ পরগনা, হুগলি কলকাতায় প্রবল ঝড় বৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ শহরতলির বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন এলাকায় ঝড় শুরু হতেই লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলি ছাড়াও আজ বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিমী মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশে।বুধবার সন্ধে থেকেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের তিন জেলা মালদা এবং দুই দিনাজপুরেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বিহার থেকে মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গের এই ঝড়বৃষ্টি।
আজ সকাল থেকে আংশিক মেঘলা ছিল আকাশ। আলিপুর জানিয়েছিল, বিকেলের পর ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের জানিয়েছিল আজ দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩২ ডিগ্রি এবং ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৫ শতাংশ। আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় দিনেরবেলায় ভ্যাপসা-গুমোট গরম ছিল। তবে অন্য জায়গাতে রাতের দিকে ঝড়বৃষ্টি কিছুটা থামলেও মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে ফের বৃষ্টি শুরু হয় রাতে। মেদিনীপুর শহরে রাতের বৃষ্টি ফের শুরু হয় রাত ১১টা নাগাদ আর খড়গপুরে সাড়ে ১১টা থেকে ফের ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে প্রবল ঝড়ো হাওয়া আর বজ্রপাত। দুই শহরেই দফায় দফায় লোডশেডিং হয়েছে। তবে শেষ অবধি দিনের তাপমাত্রা শরীর জুড়িয়ে দিয়েছে অনেকখানি।