✒️কলমে: নিখিল মিত্র ঠাকুর
আগে মেয়েদের বাচ্চা হলে ১৩ দিন আলাদা একটা রুমে থাকার ব্যবস্থা করা হতো। আলাদা থালা-বাসনে খেতে দেওয়া হতো। এটা ছিল প্রথা। আগে দায়েরা বাড়িতে প্রসব করাতেন। তারা ছিলেন অর্ধ প্রশিক্ষিত। জীবাণু রোধের জন্য পূর্বকল্পিত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন না। আজকের মতো এতো উন্নত ওষুধ ছিল না, যা সংক্রমণ সহছে রোধ করতে পারে। তাই, বাচ্চা হওয়ার পর একটা নির্দিষ্ট সময়কাল সদ্যজাত বাচ্চার মা’কে আলাদা থাকতে হতো। এটা যাতে সবাই মেনে চলে, তাই এই প্রথার সঙ্গে একটু ধর্মের ছোঁয়া লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই আঁতুড় প্রথা নিয়ে একটা সময় সমাজে খুব হয়েছিল সমালোচনা। এখন উন্নত সমাজে এই প্রথা উঠেও গেছে। নার্সিংহোম থেকে তিন দিনের মাথায় বাড়ি ফিরে এসে সবার সাথেই থাকে এখন সদ্যজাত বাচ্চার মা।
যে বিজ্ঞানের সাহায্যে আঁতুড় প্রথা উঠলো, সেই বিজ্ঞানের হাত ধরে আজ আঁতুড় ফিলে এলো। বিজ্ঞানই বলছে করোনা পজিটিভ হলে চোদ্দদিন আলাদা ঘরে থাকো, আলাদা থালা-বাসনে খাও।চোদ্দদিব পর আবার পরিবারের সবার সাথে মেলামেশা করতে পারবে। এই আঁতুড়ের একটা বড়োসরো নাম দেওয়া হয়েছে, যেটা হল হোম কোয়ারান্টাইন। অবশ্য, আগের মতো এখানে লিঙ্গ বৈষম্য নেই। যারই করোনা হবে তাকেই যেতে হবে ১৪ দিন আঁতুড় ঘরে। তাই তো বলি, হোম কোয়ারান্টাইন এর বেশে ফিরে আঁতুড় এলো ফিরে।