নিজস্ব সংবাদদাতা: বিপর্যয়ের পর বিপর্যয়ের খবর পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। লকডাউনের জন্য চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মধ্যে শ্রমিকরা ঘরে ফেরা শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশই ফিরছেন দক্ষিনের রাজ্য গুলি থেকে দক্ষিন থেকে যাঁরা বাংলায় ফিরছেন সেই লাখো শ্রমিকের দল পায়ে হেঁটে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে ফিরছেন সমুদ্র উপকূল বরাবর। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আমফান। কেন্দ্র এবং আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তর গুলি জানিয়েছে এই তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি যে কী পরিমাণ ধ্বংসলীলা চালাবে, তা এর শক্তি বৃদ্ধিতেই বোঝা যাচ্ছে৷ এর ফলে তছনছ হয়ে যেতে পারে উপকূলীয় অঞ্চল যে অঞ্চল ধরে শ্রমিকরা ফিরছেন। এই বিশাল পরিমান শ্রমিক আসন্ন ভয়াবহ দুর্যোগে কোথায় আশ্রয় নেবেন তারজন্য কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষিত হয়নি অথচ এরা এখন, এই মুহূর্তে রাস্তায়।
এদিকে আমফানের আসন্ন বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখেই সোমবার ভুবনেশ্বর থেকে খড়গপুর রুটের সব স্পেশাল ট্রেন বাতিল করেছে ইস্ট-কোস্ট রেল৷ রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনও ট্রেন চলবে না৷ অন্যদিকে সুপার সাইক্লোনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি ভুবনেশ্বর এসি স্পেশাল ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে আগামী ৪ দিনের জন্য আঙ্গুল-ঝাড়সুগুড়া-রৌরকেল্লা-টাটা করা হয়েছে৷ ভুবনেশ্বর-হিজলি (খড়গপুর) রুট এড়িয়ে যাচ্ছে ট্রেনটি৷
ইস্ট-কোস্ট রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ভদ্রক-খড়গপুর রুটে চলবে না৷ ওই রুটের মালগাড়ি সম্ভবত ঘুরিয়ে সম্বলপুর-ঝাড়সুগুড়া রুটে দিয়ে চলবে৷ লকডাউনের জেরে এমনিতেই কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে না৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে শুধুমাত্র শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন, একটি এসি স্পেশাল ট্রেন চলছে৷ এছাড়া মালগাড়ি চলছে৷
এরফলে না হয় ট্রেনে আসা শ্রমিকরা রক্ষা পেলেন কিন্তু রাস্তায় থাকা এই বিশাল পরিমান শ্রমিক যাঁদের মধ্যে প্রচুর পরিমান নারী ও শিশু রয়েছেন তাঁদের কী হবে এই নিয়ে কোনও পরিকল্পনা সরকারের আছে বলে জানা যায়নি এখনও অবধি। জানা যাচ্ছে প্রতিদিনই কয়েক হাজার শ্রমিক ওড়িশা সীমান্ত দিয়েই বাংলায় ঢুকছেন। চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু ইত্যাদি জায়গা থেকে ফিরছেন এরা। হাওয়া দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী অন্তত চারদিন থাকবে আমফানের দাপট। চলবে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টি। এই প্রবল দুর্যোগের সময় শ্রমিকরা কোথায় থাকবেন আর কোথায় খাবার পাবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেছে।