নিজস্ব সংবাদদাতা : লকডাউনের তোয়াক্কা না করেই মেদিনীপুর শহরে মিছিল করলেন তৃণমূল নেতা অথচ কোনও ব্যবস্থাই তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি। সামাজিক দূরত্বের বিধি শিকেয় তুলে কয়েক গন্ডা সমর্থক নিয়ে মিছিল করার পাশাপাশি বন্দোবস্ত রাখা ছিল মালা পরিয়ে ওই নেতাকে বরন করে রাখারও। সেই মত কয়েকজন মালা কিনেও বাড়িতে রেখেছিলেন। ওয়ার্ড দিয়ে সঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মিছিল করার সময় মাঝে মধ্যেই নির্দেশ মত তৈরি থাকা সমর্থকরা মালাও পরিয়ে দিল নেতার গলায়। সব মিলিয়ে সদ্য একটি ওয়ার্ডে কন্টাইনমেন্ট জোন হওয়া মেদিনীপুর শহর দেখল লকডাউনকে উপেক্ষা করার দারুন তামাশা।
বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সন্ধ্যা অবধি তার বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানা যায়নি। মেদিনীপুর শহরে তার কর্নেল গোলা এলাকায় বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করেছে তৃণমূল l লকডাউন মেনে চলার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ অমান্য করে এই মিছিল করার অভিযোগ উঠেছে l মেদিনীপুর শহরের কর্নেল গোলা এলাকার ওই তৃণমূল নেতা সৌরভ বসুর নেতৃত্বে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির বিরুদ্ধে আয়োজিত এদিনের প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। উল্লেখ্য বিজেপির তরফে রাজ্য সরকারের রেশন ব্যবস্থা শুধরানো, করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ মাশুল মুকুব ইত্যাদি দাবিতে প্রতিবাদ জানানো হয় জেলা জুড়ে। যদিও প্রতীকি এই প্রতিবাদে বিজেপি নেতা সমর্থকদের সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অবস্থানে সামিল হতে দেখা যায়। এই প্রতীকি ধর্ণার জন্য কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে গ্রেপ্তারও করা হয়। অথচ বিজেপির ওই প্রতিবাদকে অপপ্রচার দাবি করে জমায়েত করে মিছিল করেও দিব্যি পার পেয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা।
পুলিশের এই দ্বিচারিতার প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস।
দাস বলেন, ‘লকডাউন পর্বে মিছিল মিটিং সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার কারনে আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রতিবাদ জানালে গ্রেপ্তার আর সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিছিল করে সামাজিক দূরত্ব বিধি ভেঙেও পার পেয়ে যায় তৃণমূল নেতা। আর পুলিশ প্রশাসন তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চুপচাপ দেখে যায়। আবার এই পুলিশই যখন আগামীকাল শহরের মানুষকে লকডাউন বাধ্য করতে রাস্তায় নামবে তখন তার কি যুক্তি থাকবে?’
তবে এদিনের মিছিলকে ভাল ভাবে নিতে পারেননি তৃণমূলেরও একটি অংশে। তাঁরা জানিয়েছেন, লকডাউন পর্ব চুকলেই পৌরভোটের দামামা বাজতে পারে অনুমান করেই এলাকায় নিজের প্রভাব দেখাতে গিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে সৌরভ। ঘটনা এটাই যে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিটের অন্যতম দাবিদার সে আর তলে তলে টিকিটের দাবিদার আরও দু’জন। এরমধ্যে আবার একজন সৌরভের চেয়ে একটু এগিয়েই আছে ফলে চাপ নিতে পারছেননা বলেই মনে হয়।