নিজস্ব সংবাদদাতা: ডেথ সার্টিফিকেট সাদা কাগজে স্ট্যাম্প দেওয়া,স্পষ্ট নয় মৃত্যুর কারন তাই প্রথমে আটকাল পুলিশ তারপর খারাপ হয়ে গেল আ্যম্বুলেন্স! সব মিলিয়ে প্রায় ৬ ঘন্টা ঝাড়খণ্ড বাংলার সীমান্তে আটকে রইলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার এক গৃহবধূ। দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের অনতিদুরে ডুমুরডি চেক পোস্টে শনিবার সকালে। জানা গেছে ওই গৃহবধূ কল্পনা বোয়াল হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকার চকদ্বীপার বাসিন্দা। কল্পনা তাঁর অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে লকডাউন চালু হওয়ার আগেই দিল্লির এইমসে গেছিলেন চিকিৎসা করাতে। তাঁর কাছে রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল। বৃহস্পতিবার কল্পনার ক্যানসার আক্রান্ত স্বামী মানস বোয়াল মারা যান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে শুক্রবার এইমস থেকে স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে কল্পনা রওনা হন বাড়ির দিকে। শনিবার বেলার আ্যম্বুলেন্স এসে পৌঁছায় ঝাড়খণ্ড বাংলার সীমান্তে। নাকা চেকিং রত আসানসোল পুলিশ কমিশনারটের পুলিশ গাড়িটি আটকায়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চায়। জানা যায় এইমস হাসপাতাল থেকে প্রদত্ত সাদা কাগজে স্ট্যাম্প দিয়ে লিখে মৃতদেহ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আর তাতে মৃত্যু কারণ খুব স্পষ্ট না হওয়ায় তাদের বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তে আটকে দেয় পুলিশ। প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে মানস বাবুর স্ত্রী কল্পনা বোয়াল তার স্বামীর দেহ নিয়ে আটকে থাকেন। জানা যায় এরপর নিজস্ব সূত্র মারফৎ সরাসরি রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কথাবার্তা চালান কল্পনা। এরপরই রাজ্য পুলিশের নির্দেশে ৬ ঘন্টা পর মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ততক্ষণে অবশ্য ৬ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। পরের বিপত্তি ঘটে কিছুটা দুরে এসে দামগড়িয়া রেল সেতুর কাছে বিকল হয়ে যায় আ্যম্বুলেন্স। অনেক চেষ্টা করেও সেই আ্যম্বুলেন্স আর সারানো যায়নি। শেষে বিকল্প একটি আ্যম্বুলেন্স ভাড়া করে রওনা দেন কল্পনা।
মৃত মানস বোয়াল জীবন বীমার এজেন্ট ছিলেন বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকবছর ধরেই ভুগছিলেন তিনি। তাঁর মেয়ে সরকারি চাকুরে ও ছেলে রাশিয়ায় ডাক্তারি পড়ছেন বলে জানা গেছে।