Homeএখন খবরদ্বিতীয় পরীক্ষায় পজেটিভ, খড়গপুর আর.পি.এফ কান্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১

দ্বিতীয় পরীক্ষায় পজেটিভ, খড়গপুর আর.পি.এফ কান্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের নতুন করে এক রেল সুরক্ষা বাহিনী বা আরপিএফ জওয়ানের কোভিড ১৯ পজিটিভ ধরা পড়ায় খড়গপুর আর.পি.এফ কান্ডে মোট ১১জন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল যদিও এরই মধ্যে আক্রান্ত একজনের কোভিড নেগেটিভ ফল আসায় বর্তমানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১০।

বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট ৯০ জনের করোনা পরীক্ষার ফল আসে যার মধ্যে ৩৫ জন আর.পি.এফ কর্মীর নমুনা ছিল এই ৯০ জনের মধ্যেই ১জনের ফল পজিটিভ আসে। ঘটনার পরেই ওই জওয়ানকে রেলের টিবি হাসপাতাল বা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে ওই জওয়ানকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অন্য জওয়ানদের ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে রাতেই তাঁকে কলকাতা বা হাওড়ার কোনও রেলের কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

জানা গেছে রেলের খড়গপুর ডিভিশনের যে ২৮জন জওয়ান দিল্লি ও রাজস্থান থেকে নিজেদের বাহিনীর জন্য অস্ত্র আনতে গেছিলেন এই জওয়ান তাঁদেরই একজন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যেহেতু এই জওয়ান সরাসরি ওই দলে ছিলেন তাই অন্যদের মতই তাঁর দ্বিতীয় বারের জন্য করোনা পরীক্ষা করা হয়। প্রথম বার তাঁর নেগেটিভ এলেও দ্বিতীয় দফায় তাঁর পজিটিভ ধরা পড়েছে। উল্লেখ্য এই ২৮জনের দলটির মধ্যেই প্রথমে বালেশ্বরের ১জনের কোভিড পজিটিভ হয়। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা জওয়ানদের মধ্যে খড়গপুরে ৬ জনের, মেচেদা ও উলুবেবড়িয়ায় ২জনের এবং দিন কয়েক আগে ঘাটশিলায় ১ জনের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে।

দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ খড়গপুরে ৬জনের পজিটিভ হওয়ার পরেই ১২০ জন জওয়ানকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় রেলে। তাঁরা এখনও সেখানেই আছেন তবে আশার কথা যে অস্ত্র আনতে যাওয়া সেই ২৮ জনের বাইরে এখনও কারও পজিটিভ হয়নি। বৃহস্পতিবারের আক্রান্ত ব্যক্তিও সেই ২৮ জনেরই একজন। অর্থাৎ সংক্রমন এখনও অবধি বাইরে ছড়ানোর কোনও প্রমান মেলেনি।

অন্যদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই রাজ্যের তরফে রেলের আক্রান্ত রোগীদের জন্য রেলকে নিজের হাসপাতাল ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে এমনটা জানা যাচ্ছে। রেলের নিজস্ব পরিকাঠামো রয়েছে এবং রেলে আক্রান্তের সংখ্যাও যথেষ্ট কম সেই কথা মনে করেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে কারন অন্যদিকে রাজ্যের আক্রান্ত বাড়তে থাকায় রাজ্যের নিজস্ব হাসপাতালগুলির ওপর চাপ বাড়ছে। সে কারনেই রেল এখনও ঠিক করতে পারেনি আক্রান্ত জওয়ানকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে। গার্ডেনরিচ, দক্ষিন পূর্ব রেলের সদর দপ্তরের পরামর্শের অপেক্ষায় খড়গপুর ডিভিশন। পূর্ব মেদিনীপুরের রাজ্যের যে হাসপাতালে আগের আক্রান্ত ৬ জওয়ানকে রাখা হয়েছে সেখান থেকেও তাঁদের সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

রেলের খড়গপুর ডিভিশনের জন সংযোগ আধিকারিক তথা সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বৃহস্পতিবার নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ”আমরা ওই জওয়ানকে কোথায় ভর্তি করা হবে তা নিয়ে আলোচনা করছি। শিঘ্রই ব্যবস্থা হয়ে যাবে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular